পাবনায় বিজয়ী হয়ে ইউপি ভবন দুধ দিয়ে ধুয়ে ‘পবিত্র’ করলেন যুবদল নেতা

পাবনার চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় গোলাপজল ও দুধ দিয়ে ধুয়ে কথিত পবিত্র করার ঘটনার পর এবার ইউপি কার্যালয় দুধ দিয়ে ধুয়ে পবিত্র করলেন পাবনার  বেড়া কৈটলা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা মহসিন উদ্দিন পিপুলও।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় লাভের পর শপথ নিয়ে গত শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় দুধ দিয়ে ধুয়ে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কার্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। কার্যালয়  ধোয়ার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চমধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীদ প্রার্থী শওকত ওসমানকে পরাজিত করে বিজয়ী হোন বিএনপি সমর্থিত এই প্রার্থী। মহসিন উদ্দিন পিপুল কৈটুলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এবং দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান। আর গতবার পিপুলকে হারিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত ওসমান।

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান জানান, ইউপি নির্বাচনে আমরা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছি। কিন্তু হঠাৎ শুক্রবার বিকেলে একদল তরুণকে বালতিসহ পরিষদ এলাকায়  ধোয়া-মোছা করতে দেখা যায়। জানতে চাইলে তারা ইউনিয়ন পরিষদকে পানি দিয়ে ধৌত করবে বলে জানায়। পরে লোকমুখে শুনি দুধ ও গোলাপজল দিয়ে পরিষদের কার্যালয়সহ পুরো চত্বর ধোয়া-মোছার কাজ চলছে। এসে দেখি ঘটনা সত্য।

তিনি জানান, টিভি চ্যানেলে ইউপি জনপ্রতিনিধি নির্বাচত হওয়ার পরে দুধ দিয়ে গোসল করার ভিডিও দেখেছি। কিন্তু কার্যালয় বা অফিস দুধ দিয়ে ধৌত করে এমনটি প্রথম দেখলাম। বিষয়টি আমার কাছে নতুন লেগেছে।

ঘটনার বিষয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহসীন উদ্দিন পিপুল বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে আগের চেয়ারম্যানের আমলে এই কার্যালয়ে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ হত। যা কার্যালয়কে অপবিত্র করে দিয়েছিল। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও অনেক ক্ষোভ ছিল। তবে কার্যালয় ধোয়ার জন্য আমি দায়ী নই। আমি পানি দিয়ে ধোয়ার কথা বললেও অতি উৎসাহীরা দুধ দিয়ে কার্যালয় ধুয়ে পবিত্র করেছে।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের সময় আমাকে জানানো হয়নি আর এবার কার্যালয় দুধ দিয়ে ধয়ে আমাকে অপমান করা হলো। চেয়ারম্যান হিসাবে কোন দিন কাউকে অসম্মান করিনি। এই মানহানীর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দুষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।