পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক স্থগিত করার দাবি সংবাদ সম্মেলন

বিতর্কিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক বাতিল ও ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন রাঙামাটি জেলার সচেতন ছাত্র জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে শহরের আয়োজন রেস্তোরাঁয় এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের সভাপতি মোঃ নূর হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ হোসেন, সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির।
সমাজ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬ নামে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে সেখানে ভূমি কমিশনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ৫২% বাঙালি জনগোষ্ঠীর কোন প্রতিনিধি নাই।
বক্তারা বলেন, কমিশনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহিত হবার আইন থাকায় এ কমিশন থেকে একপেশে যেকোন ধরনের সিদ্ধান্ত আসার আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরণের একপেশে সিদ্ধান্তের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বৃহৎ বাঙালি জনগোষ্ঠী ভূমিহীন হয়ে যেতে পারে বলে আশংঙ্কা রয়েছে।
পিসিসিপি ঘোষিত ৮দফা সমূহ:- পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির উপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশাসকগণকে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির অধিকার দিতে হবে, কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির কারনে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি খাস জমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ২০০১ সালের ভূমি কমিশন আইন অনুযায়ী বলবৎ করতে হবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি।
প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তীকৃত, অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবেনা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, পিসিসিপি ঘোষিত ৮দফা দাবি না মানার আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের যে কোনো বৈঠক রাজপথে থেকে কঠোর ভাবে প্রতিহত করবে।
দাবি না মানা পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন এর কোনরূপ বৈঠক বিশেষ করে ১৯/১০/২০২৫ খ্রি: রোজ রবিবারের বৈঠক রাঙামাটিতে যাতে অনুষ্ঠিত না হয় সেজন্য বৈঠক স্থগিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি, অন্যথায় সভা স্থল ঘেরাও, অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচি পালন করবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন