পার্বত্য জেলায় বাংলা নববর্ষে ইউপিডিএফ এর বৈসাবি উৎসব

পার্বত্য জেলায় বৈ—সা—বি ও বাংলা নববর্ষে ইউপিডিএফ—এর শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তবে ফ্যাসিস্ট শাসনামলের মতোই নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চিয়তায় বৈসাবি উৎসব।

তারা শাসকগোষ্ঠীর লেজুড়দের জীর্ণ পত্র—পল্লবের মতো ছুঁড়ে ফেলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে আহবান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান ও বৃহৎ সামাজিক উৎসব বৈ—সা—বি(বৈসুক—সাংগ্রাই—বিঝু—বিহু…) ও পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রদত্ত এক শুভেচ্ছা বার্তায় ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা পার্বত্যবাসী, প্রবাসী জুম্মো ও দেশের জনগণের জীবনে নিরাপত্তা, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।

শনিবার(১২ই এপ্রিল ২০২৫) ফুল বিঝুর দিনে সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক দীর্ঘ বার্তায় ইউপিডিএফ নেতা বলেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পরও দেশে এবং বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির ইতর বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।

অন্তবর্রতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরেই দেশে উগ্র সা¤প্রদায়িক জঙ্গী মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিষাক্ত ফণা তোলা এবং সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সেনা—সেটলারের যৌথ হামলা, হত্যাকান্ড ও ব্যাপক লুটতরাজের ফলে বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দান হতে পারেনি। পাহাড়ি জনগণের মনে তা নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার এক গভীর ছাপ ফেলেছে।

ফ্যাসিস্ট শাসনামলের মতোই অন্তবরতীকালীন সরকারের আমলেও নিরাপত্তাহীনতা ও এক অনিশ্চিয়তার মাঝে পার্বত্যবাসীকে বৈসাবি উৎসবে সামিল হতে হচ্ছে বলে ইউপিডিএফ নেতা মন্তব্য করেছেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের জাতীয় অস্তিত্ব গুরুতর হুমকির সম্মুখীন বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউপিডিএফ নেতা প্রদত্ত বার্তায় আরও বলেন, ঋতু পরিবর্তনের সাথে জীর্ণ পত্রপল্লব ঝেড়ে ফেলে বৃক্ষ যেমন নতুন সাজে সজীব হয়ে ওঠে, তেমনি পার্বত্যবাসীকেও অস্তিত্ব রক্ষার্থে বিগত দিনের সকল ভ্রান্তি, দুর্বলতা ও ব্যর্থতা দূর করে এবং সময়ের দাবিতে শাসকগোষ্ঠীর চিহ্নিত লেজুড় দালাল জাতীয় স্বার্থবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীসমূহকেও ছুঁড়ে ফেলে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)’র প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।