পাসপোর্ট গার্ল খুলনার কাজী আসমা আজমেরীর বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্টে ১৩০ দেশ ভ্রমণ

কাজী আসমা আজমেরী জন্মগ্রহণ করেছেন খুলনা শহরে। কাজীবাড়ির মেয়ে আজরেমী বড় হয়েছেন শহরের দোলখোলা কাজীবাড়িতে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে লেখাপড়া করেছেন খুলনায়। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন ঢাকায় ও বিদেশে।

সদ্য কৈশোর পেরিয়ে তারুণ্যের শুরুতে একা একাই প্রথম বিদেশ ভ্রমণ করেন নেপালে। সেই প্রথম বিদেশ ভ্রমণে আছে তার নানা তিক্ত অভিজ্ঞতা।
এরপর বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্টে একে একে গত ১৮ মে ২০২২ এর মধ্যে বিশ্বের ১৩০টি দেশ ভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন।

বিশ্বের এই ১৩০টি দেশ দেশ ভ্রমণ করতে সময় লেগেছে মাত্র ১৩ বছর।

কাজী আসমা আজমেরী এখন বিশ্বে পাসপোর্ট গার্ল নামে পরিচিত লাভ করেছেন। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করছেন। আন্তর্জাতিক মহলে তাকে পাসপোর্ট গার্ল হিসেবে আখ্যায়িত ও সম্মোধন করেছেন জাতিসংঘের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাম কি মুন।

তিনি শুধু একজন বিশ্বভ্রমণকারি নয়। তিনি একজন চেঞ্জ মেকার ও মোটিভেশন স্পিকার।

আজমেরী এ পর্যন্ত বিশ্বের ৬৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে তার ভ্রমণের গল্প ও অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশি সবুজ পাসপোর্টে বিশ্ব ভ্রমণের মাধ্যমে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং পাসপোর্ট বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করছেন নিরন্তর।

তিনি তার এই ভ্রমণের অনুপ্রেরণামূলক গল্প ও বাংলাদেশি পাসপোর্টে ব্যান্ডিং করার চেষ্টায় চলেছেন অবিরাম।

‘ট্রাভেলিং ইস ফর ওয়েইট লার্ন’-শীর্ষক আদর্শকে ধারণ করে খুলনা শহরের রায়পাড়ায় পৈতৃক বাড়িতে গড়ে তুলেছেন একটি লাইব্রেরি। সেখানে আছে দেশি-বিদেশি বহু বই।

ভ্রমণের মাধ্যমে তিনি পরিবেশ পরিবর্তনে সচেতনতার ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর ১০০তম ভ্রমণের দেশ তুর্কিমিনিস্তান থেকে তিনি প্রতিটি দেশে গেলে একটি করে অন্তত গাছ রোপন করে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন ও দায়িত্ববান পর্যটক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিশ্ব ভ্রমণকারী হিসেবে তাকে ইন্ডিয়ার কুইন গ্রণ্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড শান্তির বার্তাবাহী বিশ্ব ভ্রমণকারীনী’ উপাধি দেয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ার ক্রেজি tales নামক একটি নারী সংগঠন থেকে যেখানে ১৩০ জন নারীর সাথেনারী ট্রাভেল ইনফ্লেকশন হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

এছাড়া বিবিসি, ভয়েস অফ আমেরিকা, চায়না রেডিও, সুইডেন রেডিও, ব্রায়ান টু, Lebanon TV, Duma Radio সহ পৃথিবীর বিভিন্ন মিডিয়ায় ইন্টারভিউ দিয়েছেন। এসব কাজে তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের ভ্রমণ পিপাসু ও নারীদের ট্রাভেলস star ও পাসপোর্ট গার্ল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।