পিরিয়ড নিয়ে অপমান, ক্ষোভে আত্মহত্যা

মেয়েটির বয়স ১২। স্কুলে আসার পরই তার পিরিয়ড হয়ে যায়। কোনো পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় স্কুলের বেঞ্চ এবং ইউনিফরমে লেগে যায় রক্তের দাগ। এজন্য তাকে তার সহপাঠিদের কাছে অপমানিত হতে হয় এবং ক্লাসের শিক্ষককে বলা হলে তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয় ওই অবস্থাতেই।

যেখানে জ্ঞান বিজ্ঞান এতো এগিয়ে সেই যুগেই পিরিয়ড নিয়ে এমন ঘটনার শিকার হতে হল ভারতের তামিনলাড়ুর পালায়ামকোট্টাইয়ের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয় মেয়েটি।

গত ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) স্কুলে যাবার পথেই পিরিয়ড শুরু হয়ে যায় মেয়েটির। স্কুল ইউনিফর্মে এবং বেঞ্চে রক্তের দাগ লেগে যাওয়ায় হাসি ঠাট্টা শুরু করে দেয় সহপাঠিরা। কয়েকজন সহপাঠি শিক্ষককে বিষয়টি জানলে সাহায্য করার পরিবর্তে মেয়েটিকে বকা দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেয়। এ অপমান সহ্য করতে না পেরে ৩০ আগস্ট (বুধবার) প্রতিবেশীদের বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয় সে।

মেয়েটির পরিবারের সাথে কথা হলে তারা জানায়, স্কুলের ঘটনা সম্পর্কে মেয়েটি কিছুই জানায়নি। তবে সুইসাইড নোটে সহপাঠিদের কাছে অপমানিত এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে গেছে মেয়েটি। এদিন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করেন ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।