পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মনগড়া নিয়মে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন সুপার

পিরোজপুর মঠবাড়িয়া উপজেলার মোমেনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সরকারী কোন নিয়ম চলে না – চলে মাদ্রাসা সুপারের নিজস্ব আইন। অনিয়মটাই এখন অনেকটা নিয়মে পরিনত হয়েছে এখানে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের কোন তদারকি কর্তৃপক্ষ না থাকায় অনিয়ম ও দুর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে প্রতিষ্ঠানটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিধিবহির্ভূতভাবে দাখিল পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র বিতরনের সময় জনপ্রতি ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। সার্টিফিকেট বিতরনের সময় নেওয়া হয় ৫০০ টাকা আর কারো টিসি নিতে হলে গুনতে হয় ১০০০ টাকা।
দাখিল পরীক্ষার ফরম ফিলাপে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে বোর্ড থেকে নির্ধারিত টাকার চেয়ে ৫০০ টাকা করে বেশী নেওয়া হয়।কেউ কোচিং করুক আর না করুক কোচিং এর টাকা দিতেই হবে। দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ পরীক্ষার্থীরা বহন করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করেন সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা শাজাহানবিদায় অনুষ্ঠানের নামে নূরানী ও ইবতেদায়ী শাখা থেকে শুরু করে দাখিল দশম পর্যন্ত কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করলেও এ টাকা কোথায় ব্যয় করা হয় তা জানে না পরীক্ষার্থীরা।
কোন শিক্ষক জেল খাঁটলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়ম থাকলেও এ মাদ্রাসায় তা মানা হয় না। সম্প্রতী ফরিদুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষক নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জেল খাঁটলেও সুপারের অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি। এমনকি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকেও যথাসময়ে বিষয়টি অবগত করে নি ওই সুপার।
ফয়সাল নামে মাদ্রাসার একজন অফিস সহকারী বিগত ৫ বছর ধরে মাদ্রাসায় অনিয়ম রয়েছেন। ব্যাকডেটে স্বাক্ষর করেন তিনি। সম্প্রতী বিস্ফোরক মামলার আসামী হয়ে ওই অফিস সহকারী আত্মগোপনে থাকলেও হাজিরা খাতায় তাকে উপস্থিত দেখানো হয় নিয়মিত।সুপারের মিথ্যাচার ও দুর্নীতির কারনে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শাজাহানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানান,বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















