পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১০ নং হলতা গুলিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাব অফিসের নামে টিয়ারখালী বাজারে জমিসহ একটি একতলা ভবন দখলের পায়তারা চালানোর প্রতিবাদে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জ জমাদ্দারের মেয়ে নিপা আক্তার।সংবাদ সম্মেলনে ভোগ দখলীয় ভবন দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ ফারুক,মোঃ আনসার উদ্দিন ও খোকন হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,দক্ষিণ হলতা মৌজার ৮২৪ নং খতিয়ানের ৬৯৪ নং দাগে থাকা আমাদের নির্মিত একটি ভবন বিবাদীরা দখল চেষ্টা করলে আমরা আদালতে মামলা করি। ২০০৭ সালে আমরা আদালত থেকে রায় পাই।এরপর ফারুক চেয়ারম্যান আমাদের গ্রামের বাড়িতে তার কিছু লোকজন পাঠায়।

তারা আমাদের ওই ভবনের একটি কক্ষ শালিস ব্যবস্থার জন্য ব্যবহার করতে চায়। তখন আমার দাদা হাসমত আলী জমাদ্দার প্রথমে অপরাগতা প্রকাশ করলেও জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে একটি কক্ষ ব্যবহার করার অনুমতি দেন। কয়েক বছর ওই কক্ষটি ব্যবহার করে একপর্যায়ে পুরো ভবনটিতে মেরামতের কাজ শুরু করে। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর তাদেরকে ওই কক্ষটি আর ব্যবহার না করার জন্য বলা হয়।এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের পুরো ভবনটি দখলের পায়তারা চালায়।

কয়েক বছর ধরে এ নিয়ে হামলা ও মামলা মোকদ্দমার সৃষ্টি হয়।বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌছালে গত বছরের জুন মাসে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সুষ্ঠু সুরাহার লক্ষ্যে একটি সিদ্ধান্ত দেন।কিন্তু সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষরা আমাদের ওই ভবনের তালা ভেঙে দখল চেষ্টা চালায়।

এ সময় আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি অবগত হয়েছেন।

ভুক্তভোগী পরিবারটি জানান,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক সাহেব স্থানীর সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় হওয়ায় আমরা ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিডি) হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসের জানান,স্বাধীনতার পর থেকে টিয়ারখালী বাজারে হলতা গুলিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সাব অফিস নামে একটি অফিস চালু আছে।আনোয়ার জমাদ্দার গং আদালত থেকে যে রায় পেয়েছে তা একতরফা রায়।আমরাও আদালতে একটি মামলা করেছি।মামলাটি চলমান আছে।বৃহস্পতিবার আমরা তালাবদ্ধ ওই অফিসটির তালা খুলতে চেয়েছিলাম।এসিল্যান্ড এবং ইন্সপেক্টর তদন্ত এসেছিল।যদিও বিশেষ কারনে তালা খোলা হয়নি।