পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সালমা নামে এক তরুণী কর্তৃক আলকাজ উদ্দিনের পরিবারকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি ও থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
বুধবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী ওই পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাপলেজা ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া এলাকার আলকাজ উদ্দিনের পুত্রবধু এবং সৌদি প্রবাসী নাসির উদ্দিনের স্ত্রী চম্পা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী দেবত্র এলাকার রত্তন তালুকদারের মেয়ে সালমা একজন প্রতারক।আমার স্বামী নাসির উদ্দিন এই নারী প্রতারকের খপ্পরে পড়ে আমাদের সাজানো সংসার ও পরিবার আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। মোবাইল ফোনে সম্পর্ক অতঃপর বিয়ে করে বিভিন্ন সময় ৪ বছরে প্রবাসে থাকা আমার স্বামীর নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।প্রতারক সালমার সাথে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক টের পেয়ে নাসির উদ্দিন যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।এরপর শুরু হয় সালমার মিথ্যা অভিযোগ। তার মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানি থেকে রেহাই পায়নি থানা পুলিশের ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তারাও।মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে ব্যর্থ হয়ে এখন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপাকে ফেলেছে প্রতারক এই তরুণী।
ভুয়া চুক্তিপত্র তৈরি করে তাতে ৭ লাখ টাকা পাওনা দেখিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানা,কোর্ট, সিআইডি সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছে।বোনের সাথে মারামারি করে সেই মারামারির ঘটনা দেখিয়ে আমার স্বামী নাসির উদ্দিন ও শ্বশুর আলকাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।মামলাটি তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর জন্য কাবিননামা অস্বীকার করে প্রতারক এই নারী।যদিও এই সঠিক কাবিননামার অনুকূলে কাজী মাহামুদুল হকের কাছে পর্যাপ্ত প্রমান রয়েছে।
আমার স্বামী নাসির উদ্দিন প্রতারক সালমার খপ্পরে পড়ে তার জন্মদাতা মা – বাবার সাথেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। স্কুল পড়ুয়া একমাত্র ছেলেরও খোঁজ খবর নিতো না। প্রবাসে অর্জিত জমানো টাকা নিয়ে এক সময় সালমার বাড়িতে ওঠে।সেখানে তারা স্বামী – স্ত্রী পরিচয় দেয়।কয়েক মাস পর সালমা ঢাকায় তার বোনের বাসায় নাসির উদ্দিনকে নিয়ে ব্লাক মেইল করে।মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলে।এরপর এ ছবি ইন্টারনেটে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ১০/১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।এই টাকা নিয়ে সালমা তার ভাইয়ের নামে জমি কিনেছে।
সালমা আমার স্বামীর নিকট এখন আরও ১০ কাঠা জমি অথবা ৫ লাখ টাকা দাবি করে।থানা পুলিশ এই টাকা আদায় করে দেয় না বলে তাদেরকেও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে।আমাদেরকে হুমকি দেয়। কাজী সাহেব সত্য কথা বলায় তাকেও হুমকি দেয়। একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।আমরা প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধি ও সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরও সুদৃষ্টি কামনা করছি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে মঠবাড়িয়া উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন