মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আনারস প্রতীকের কর্মীকে কুপিয়ে জখম: চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী সহিংসতায় ফারুক ভুঁইয়া নামে আনারস প্রতীকের একজন কর্মী ও সমর্থক মারা গেছে। গত ৩১ মে হামলার পর মঠবাড়িয়া হাসপাতাল থেকে তাকে বরিশালে রেফার করা হয়।

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৬ জুন) তিনি মারা যান।হামলার কারন নিয়ে বিভ্রান্ত তৈরি হওয়ায় শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

নিহতের পরিবারের দাবি,ফারুক ভুঁইয়ার ওপর হামলাকারী ও খুনিরা দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী বায়জিদ আহমেদ খানের সমর্থক ও সন্ত্রাসী বাহিনী। ঘটনার পর থানা পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে।৩/৪ দিন পর থানায় মামলা নিলেও ঘটনার মূল কারন আড়াল করে এজাহার লেখা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দোকান থেকে আসামিরা বাকিতে সিগারেট চাওয়া নিয়ে এবং পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে এ হামলা চালানো হয়। বাস্তবে তুচ্ছ বিষয়কে ইস্যু করে আনারস প্রতীকের সমর্থন করার প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা চালানো হয়।

নিহতের বাম পায়ে,ডান পায়ে ও কোমড়ের নিচে কুপিয়ে জখম করার চিহ্ন থাকলেও এজাহারে তা উল্লেখ করা হয় নি। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফারুক ভুঁইয়া মারা গেলেও মামলার এজাহারে ৩০৭ ও ৩২৬ ধারা উল্লেখ করা হয়নি।

ফারুক ভুঁইয়ার নিহতের ঘটনায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য, হামলাকারীরা ডাকাতি সহ একাধিক মামলার আসামি। আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী লাশের ওপর দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার জন্য ডাকাত ভাড়া করে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।এ ঘটনায় বায়জিদ আহমেদ খানের শ্বশুর খলিলুর রহমানকে (আদম খলীলকে) গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় ৩১ মে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪ জুন ফারুক ভুঁইয়ার স্ত্রী রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে এটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।