পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ ভেচকি এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো-নূর আলম খান,শহীদ খান,আসলাম ও সিদ্দিক খান।তারা মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সৌদি প্রবাসী বাদল খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মঠবাড়িয়া ক্যাম্পের সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রাজিব।

জানা গেছে, টিকিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভেচকি এলাকার শহীদ হুজুরের ছেলে আবুল কালামের সাথে প্রতিবেশী আউয়াল হাওলাদার ও রাসেল শিকদারের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আউয়াল হাওলাদার লোকজন ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সিদ্দিক খানের দোকানের সামনে ওৎ পেতে থাকে। এ অবস্থা দেখে আবুল কালাম দৌড়িয়ে প্রথমে সৌদি প্রবাসী বাদল খানের ঘরে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পার্শ্ববর্তী দেলোয়ার খানের ঘরে আশ্রয় নেয়।

এতে প্রতিপক্ষরা দেলোয়ার খানের বসত ঘরটি রামদা দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে যাওয়ার পর যারা সাক্ষ্য দিয়েছে তাদের ওপর হামলা শুরু করে। এ সময় চাকরি থেকে ছুটিতে আসা সেনা সদস্য সরোয়ার খান মঠবাড়িয়া ক্যম্পে জানালে সেনাবাহিনীর টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে তারা পৌছানোর পূর্বেই ৪ জন আহত হয়।এরমধ্যে নূর আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার পর উপকূলের সংবাদ সহ একাধিক ফেসবুক পেজে মঠবাড়িয়ায় ডাকাতের কোপে এলাকাবাসী গুরুতর আহত শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়।এতে এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়।

এদিকে বিষয়টি ডাকাতের হামলা বা ডাকাতির ঘটনা নয় বলে শনিবার বেলা ২টার দিকে মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। টিকিকাটা ৫ নং ওয়ার্ডের সালমা নামে এক নারী সংবাদ সম্মেলনে বলেন-ডাকাতের হামলা বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে সত্য ঘটনা উদঘাটন করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেন তিনি।