পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রাব্বী হত্যা মামলায় ১৬ আসামীর উচ্চ আদালত থেকে জামিন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালী এলাকার রাব্বী হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১৬ আসামীর মধ্যে ১৬ জনেরই জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিন শুনানী শেষে আসামীদের ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাইদুল ইসলাম চুন্নু এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- (১) মো. মিন্টু, (২) মো. মোস্তফা, (৩) আবুল,(৪) মো. মনির, (৫) মো. সলেমান, (৬) মো. আউয়ুব খান, (৭) মো. কালাম, (৮) মো.ইব্রাহিম, (৯) মো. মামুন, (১০) মো. শামীম, (১১) মো.রাকিব, (১২) মো. আফজাল , (১৩) মো.ইউসুফ, (১৪) মো.আজিম, (১৫) মো.জালাল চৌকিদার এবং (১৬) ফরিদ চৌকিদার।

আসামীরা সবাই গুলিশাখালী এলাকার।এরমধ্যে ১৩ নং আসামী মো. ইউসুফ গুলিশাখালী ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এবং ১.২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হাওয়া বেগমের স্বামী।তারা একই পরিবারের ৫ জন এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী হয়েছেন।বাদী ও আসামীদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

ঘটনার পর পুলিশ সন্দেহজনকভাবে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।কারাগারে থাকা আসামীদ্বয় হলো-গুলিশাখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্র মো. সবুজ ও জামাল দফাদারের পুত্র মো. রাব্বি মিয়া।তাদের বিরুদ্ধে ভিকটিমকে লাকড়ি কাঠ দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আঘাত করার অভিযোগে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট সন্ধ্যা অনুমান ৭ টায় গুলিশাখালী বাসস্ট্যান্ডে পাওনা টাকা নিয়ে তর্ক বিতর্কের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলায় হাফেজ মো. রাব্বি গুরুতর জখম হয়ে ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এ ঘটনায় রাব্বির চাচা মো.ফেরদৌস রহমান বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় ২৩ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০২ ধারা সংযোজন করা হয়েছে।