পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আলিম পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছে তাফালবাড়িয়া হাকিমিয়া বালিকা মাদ্রাসা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তাফালবাড়িয়া হাকিমিয়া আলিম মাদ্রাসায় ২০২৪ সালের আলিম পরীক্ষায় একজন জিপিএ- ৫ সহ ১১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ফেল করেছে ৩ জন।তবে প্রত্যান্ত অঞ্চলের একটি মাদ্রাসা থেকে জিপিএ – ৫ পাওয়ায় খুশি শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

জানা গেছে, স্থানীয় আব্দুল হাকিমের জামাতা আব্দুল গফুর এবং আব্দুল কাদেরের ছেলে ও মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাকালীন সুপার মো. শহিদুল ইসলাম আজাদীর প্রচেষ্টায় ১৯৭৭ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৯৭ সালে দাখিল পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতি করার অভিযোগে ১৯৯৮ সালে আজাদীকে সুপার পদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়।

মাদ্রাসাটি একপর্যায়ে আলিম মাদ্রাসায় উন্নিত হয়। এরপর অধ্যক্ষ ছাড়াই ২৫ বছর অতিবাহিত করে মাদ্রাসাটি।সম্প্রতী ২০২৪ সালের মার্চ মাসে উপাধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং মার্চ মাসেই অফিস সহকারী কাম কম্পিউটারের একটি শূন্য ও দুইটি সৃষ্ট পদের বিপরীতে ৩ জনকে নিয়োগ প্রদান করেন।মাদ্রাসাটির গভর্নিং বডির সর্বশেষ সভাপতি ছিলেন ৯ নং সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া।

মাদ্রাসাটিতে ১২টি ক্লাসে ২৭২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ২৫ জন শিক্ষক- কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। মাদ্রাসাটিতে একাডেমিক ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাদ্রাসাটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল এর আগে ছোট শৌলা শাহাদাৎ হোসেন দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। যদিও তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই তার কাছে টাকা পয়সা পাবেন বলে জানা গেছে।ঝামেলা এড়াতেই তিনি মাদ্রাসা পরিবর্তন করেছেন।

মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা নূরীয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে এ বছর আলিম পরীক্ষায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি প্রতিষ্ঠান জিপিএ- ৫ অর্জন করে। এরমধ্যে টিকিকাটা নূরীয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৩ টি এবং তাফালবাড়িয়া হাকিমিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসা থেকে ১টি জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এ কেন্দ্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে গুলিশাখালী সালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা। ২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন অনুপস্থিত এবং ২ জন ফেল।মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেক অনুপস্থিত কেন- এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল জব্বার।