পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাশের স্কুলে সংযুক্ত করা প্রয়োজন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ২০৪ নং উত্তর জানখালী ভাইজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১২১ নং পাঁচশতকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পার্শ্ববর্তী স্কুলে একিভূত করা দরকার বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।বিদ্যালয় দু’টিতে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রী কম অন্যদিকেে একত্রিত করার জন্য পাশের স্কুলের দুরত্বও কম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০৪ নং উত্তর ভাইজোড়া জানখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১২ সালে স্থানীয় একটি জামে মসজিদের জমিতে স্থাপন করা হয়।এরপর ২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হলেও মসজিদের জমিতেই জরাজীর্ণ টিনের ঘরে এটি চালু রয়েছে এখনও।
কাগজে কলমে ৭৪ জন শিক্ষার্থী থাকলেও বাস্তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৫০ এর নিচে।পার্শ্ববর্তী স্কুলের দুরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার।রেমাল ঘুর্ণিঝড়ের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার বরাদ্দ দিয়ে বিদ্যালয়ের কাছাকাছি নিজস্ব জমিতে কাঠের ঘর তৈরি করা হচ্ছে।চলাচলের অনুপযোগী এমন একটি জায়গায় কাঠের ঘর তৈরি করা হচ্ছে যেখানে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করলে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি আরও কমবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অন্যদিকে ১২১ নং পাঁচশতকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে সব ক্লাস মিলিয়ে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে মাত্র ১৪ জন।বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা এবং জমিদাতার স্ত্রী বিদ্যালয়টিতে কর্মরত থেকে অবসরে গেছেন।বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেষেই রয়েছে তাদের বসতঘর।
এ সুযোগে পুরো বিদ্যালয়টিকেই তারা নিজেদের বাড়ির পরিবেশে পরিনত করেছে। উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে আসতে পারে বলে ধারনা স্থানীয়দের।বিদ্যালয়টির জমি নিয়েও রয়েছে ঝামেলা। নামজারি (মিউটিশন) করতে প্রধান শিক্ষককে সহযোগিতা না করায় জমিদাতার সাথে দুরত্ব তৈরি হয়েছে প্রধান শিক্ষকের।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল গনি জানান, খুব শীঘ্রই স্কুল দু’টি ভিজিট করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন