পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বন কর্মকর্তা সুরেশ মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বন কর্মকর্তা সুরেশ মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী নবী হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে গত ৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ প্রদান করেন। উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জানাগেছে, সামাজিক বনবিভাগ বাগেরহাটের আওতায় মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের মাঝের চরে কয়েক হাজার নারিকেল গাছ রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে বনবিভাগ এ সকল নারিকেল গাছের লিজ দিয়ে আসছে।প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও স্থানীয় নবী হোসেন বিশ্বাস টেন্ডারের মাধ্যমে ডাব বাগানের লিজ প্রাপ্ত হয়।সম্প্রতী বন কর্মকর্তা সুরেশ মিস্ত্রী মঠবাড়িয়ায় যোগদান করেই মাঝের চরের ডাব বাগানের দিকে নজর দেয়। টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নবী হোসেনের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি।৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরে দিবে বলে জানান।এর কয়েকদিন পরেই টাকার জন্য নবী হোসেনকে মঠবাড়িয়া অফিসে আসতে বারবার ফোন দেন ওই বন কর্মকর্তা। অফিসে না আসায় নবী হোসেন ও তার শুভাকাঙ্ক্ষী একাধিক নিরীহ লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চারদিকে নদী বেষ্টিত দুর্গম এলাকা মাঝের চরের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য মুজিব কিল্লা নির্মান করা হয়। ডাব বাগানের ইজারা নিয়ে ইজারাদারদের সাথে আর্থিক লেনদেনের সমন্বয় করতে না পেরে বন কর্মকর্তা মুজিব কিল্লা নির্মান কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।মনগড়া ইস্যু তৈরি করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ করতে বলেন।কিন্তু জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে জনস্বার্থে নির্মাণ কাজ চলমান থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বন কর্মকর্তা সুরেশ মিস্ত্রী ঠিকাদার সহ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ডাব বাগানের ইজারাদারের বিরুদ্ধে বাগেরহাট বন অফিসের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেন।সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মুজিব কিল্লা নির্মাণে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিযেছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে বন কর্মকর্তা সুরেশ ইজারাদারের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে নিরীহ মানুষদের নামে অন্যায়়ভাবে মামলা দেওয়ার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
পিরোজপুর জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মহাসিন উদ্দিন জানান,মুজিব কিল্লা নির্মাণে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে আমরা কোন মামলা দিতে বলি নাই।উপজেলা বন কর্মকর্তা মামলা দিয়েছে। আবার বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমেই বিষয়টি খুব শীঘ্রই সুরাহা হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন