পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া কে এম লতীফে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে মামলা : শিক্ষার মান ব্যহত
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার খাস মহল লতীফ ইন্সটিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে মামলা চলমান থাকায় বছরের পর বছর শূন্য রয়েছে প্রধান শিক্ষকের পদ।এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান। মামলার কারনে নিয়মিত কমিটি গঠন স্থগিত থাকায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০২০ সালে ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) নির্বাচন নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ তৈরি হয়।একটি পক্ষ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার ভয়ে পরিকল্পিতভাবে ওই সময়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় ইস্যু তৈরি করে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে একপর্যায়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত করেন।এরপর এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়।সহকারী শিক্ষক আয়শা খানম সহ ৫ জন শিক্ষক প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষ নেয়।অন্যদিকে সহকারী শিক্ষক ইনামুল হক সহ ৩০ জন শিক্ষক কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
প্রধান শিক্ষকের বিপক্ষে নেতৃত্ব দেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান। একপর্যায়ে তারা অবস্থান কর্মসূচি সহ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমানিত হওয়ায় মোস্তাফিজের চাকরি চলে যাওয়ার উপক্রম হয়।একপর্যায়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে ওই সময়ের এডহক কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী ওই প্রধান শিক্ষককে অন্য স্কুলে নিয়োগ নিয়ে যোগদান করার সুযোগ দেন। এরপর থেকে ১৭ মাস ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। মামলার কারনে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে কে এম লতীফ স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।আন্দোলনের নামে বিদ্যালয়ের অর্জনকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের কক্ষটির দরজা তালা মারার পর কাঠের বাওতা আড়াআড়িভাবে মেরে দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষককে হুমকি দিয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে রেখে সহকারী প্রধান শিক্ষক অবৈধভাবে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবি করে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন।প্রধান শিক্ষক না থাকার ৩ বছর ৭ মাসের মধ্যে তিনি ২ বছর ৭ মাস অবৈধভাবে এবং ১ বছর ৫ মাস বৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।তবে মামলাটি নিষ্পত্তি করে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের দৃশ্যমান কোন চেষ্টা করেননি তিনি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) খলিলুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে মামলার বাদী এবং গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের (কবুতরখালী) ইউপি সদস্য আমির হোসেন সিরাজী জানান, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে মামলাটি সমাধানের জন্য কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করেনি।
বর্তমানে ছাত্র জনতা শিক্ষার মান উন্নয়নে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানকে চাপ প্রয়োগ করে।এরপর তিনি মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আমার সাথে যোগাযোগ শুরু করেন।মিমাংসা সাপেক্ষে আমি যেকোন সময় মামলা তুলে নিতে প্রস্তুত আছি বলেও জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন