পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মামলার বাদী মোসাঃ শাহিদা বেগম চেয়ারম্যানের চাচাতো বোন হওয়ায় এবং সুসম্পর্ক থাকায় প্রতিপক্ষ দুলাল (৫০) এবং ছগিরকে (৪০) এ মামলায় ফাঁসানোর সুযোগ হয় বলে জানা গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দার , মামলার বাদী শাহিদা বেগম এবং মামলার ৩ ও ৪ নং আসামী দুলাল ও ছগির মিয়ার বাড়ি টিকিকাটা ইউনিয়নের ভেচকি এলাকায় এবং পরষ্পর প্রতিবেশী।রিপন জমাদ্দারের সাথে দুলাল গংদের ১৯৮২ সাল থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। অন্যদিকে মামলার ১ ও ২ নং আসামী হাসান মিয়া ও শহীদ মেম্বারের বাড়ি দাউদখালী ইউনিয়নের বড় হারজি এলাকায়। হত্যার ঘটনাও ঘটে ওই এলাকার শহীদ মেম্বারের বাড়িতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ঘটনার মাস দুয়েক আগে ভেচকি গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা শাহিদা বেগমের কন্যা লামিয়া আক্তার মুন্নীর (১৫) সাথে বড় হারজি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ছেলে হাসানের বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়।মঠবাড়িয়া পৌর শহরের নিউমার্কেটে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দারের বাসায় এ বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। বিবাহ পরিচালনা করেন চেয়ারম্যান নিজেই।বিবাহের পর ছেলের বাবার সাথে মেয়ের মায়ের (মামলার বাদী) প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ঘটনার সপ্তাহ খানেক আগে এই বেয়াই এবং বেয়াইনের বিবাহের খবর প্রকাশ পায়।এরপর ২০ মার্চ রাতে নববধূ লামিয়া আক্তার মুন্নীকে হত্যার ঘটনা ঘটে।পারিবারিক বিষয় নিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় অন্য এলাকার দুলাল ও ছগিরকে মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামী শহীদ মেম্বার পুত্রবধূ মুন্নীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।একপর্যায়ে সরাসরি মুন্নীর মায়ের কাছে যৌতুকের এ টাকা দাবি করে। আর এতে সহযোগিতা করে আসামী দুলাল ও ছগির।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শহিদ মেম্বারের সাথে মুন্নীর মায়ের প্রেমের সম্পর্ক এবং পরে বিয়ের গুঞ্জন ওঠে।সেখানে যৌতুকের টাকা দাবি করতে সহযোগিতার অভিযোগে দুলাল ও ছগিরকে আসামী করা হয়েছে। আবার এই দুই ভাইকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ১ ও ২ নং আসামী হাসান ও শহীদ মেম্বারের সাথে ৩ ও ৪ নং আসামী দুলাল ও ছগিরের কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই।তাই পরস্পর যোগসাজশে যৌতুকের টাকা চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।ইউপি চেয়ারম্যান রিপন জমাদ্দারের সাথে বিরোধ থাকায় বাদীকে ব্যবহার করে এ মামলায় দুলাল ও ছগিরকে ফাঁসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর (এস আই) নাদিম মাহমুদ জানান, তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন