পিরোজপুরে ঝিমিয়ে পড়েছে তেলিখালী থানা করার পরিকল্পনা


পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে তেলিখালী থানায় রূপান্তর করার পরিকল্পনা ঝিমিয়ে পড়েছে। ২০২২ সালে আন্দোলন ও প্রতিবাদের মুখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছুটা পিছু হটলেও ৫ আগস্টের পর এ পরিকল্পনা থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছে তারা।
জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ভান্ডারিয়া উপজেলার ২টি ইউনিয়ন নিয়ে তেলিখালী থানা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ এবং ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলামের প্রচেষ্টায় বিষয়টি এতদিন প্রক্রিয়াধীন ছিল।
৫ আগস্টের পর তারা আত্মগোপনে থাকায় তেলিখালী থানা নামে একটি নতুন থানা করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন তুষখালী, ধানিসাফা, মিরুখালী ও বড়মাছুয়া কেটে নিয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নে তেলিখালী নামে একটি থানা করাকে মেনে নিতে পারেনি মঠবাড়িয়ার মানুষ। খবর পেয়েই মঠবাড়িয়াকে অখন্ড রাখার দাবিতে প্রতিবাদ জানায় তারা।
২০২২ সালের মার্চের দিকে মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিমের মাধ্যমে মঠবাড়িয়া থেকে ৪টি ইউনিয়ন বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়। দলমত নির্বিশেষে একটি সমন্বয় কমিটি করে লাগাতার এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু মহিউদ্দিন মহারাজের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সখ্যতা থাকায় মঠবাড়িয়াকে অখণ্ড রাখার বিষয়টি এতদিন অনিশ্চিত থাকলেও ৫ আগস্টের পর অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে।এতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে মঠবাড়িয়াবাসী।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন