পিরোজপুরে স্কুলের জমিতে নিয়ম না মেনে দোকানঘর নির্মাণ!
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সরকারী হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারী নিয়ম ভেঙে ও সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই প্রধান শিক্ষককে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, সরকারী হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের লক্ষ্যে স্হাবর – অস্হাবর সম্পদ হস্তান্তর ও অর্থ ব্যয়ের উপর ২৮/০৯/২০১৭ খ্রি. তারিখে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়।সূত্রঃ (১) শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের স্মারক নং- ৩৭.০০.০০০০..০৭১.০৮.০০৩.১৭-৮৮৬ তারিখঃ ২৫/০৯/২০১৭ খ্রি. (২) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পত্র নং- ০৩.০০১.০০০.০০.০০.০১.২০১৭-২৫, তারিখঃ ২৪/০৮/২০১৭ খ্রিঃ।এছাড়াও সরকারী বিদ্যালয়ের কোন আয়ের উৎস তৈরি করতে বা কোন স্হাপনা নির্মাণ করতে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হয়।কিন্তু প্রধান শিক্ষক এ ধরনের কোন নিয়ম কানুন না মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই দোকানঘর পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করেন।
স্হানীয়রা জানান, সরকারী হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি বেসরকারী থাকাকালীন ২৯টি দোকানঘর নির্মাণ করা হয়।সড়ক প্রশস্তকরণে দোকানঘরগুলো পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ।দোকানঘর গুলোর ছাউনি খুলে ফেলা হয় এবং দেয়াল ও মেঝ আংশিক ভেঙ্গে ফেলা হয়। মঠবাড়িয়া নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসন পরিত্যক্ত দোকানঘরগুলো অপসারন করে তদস্থলে শিক্ষামূলক বানী সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন দেয়াল স্হাপনে প্রধান শিক্ষকের সাথে একাধিকবার আলোচনা করেন।কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিজের স্বেচ্ছাচারিতায় উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকা পরিত্যক্ত দোকানঘরগুলো পুনঃনির্মাণ শুরু করেন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমাদুল হক খান জানান, বিদ্যালয়টির সামনে দোকনঘর পুনঃনির্মাণ না করে দৃষ্টিনন্দন দেয়াল স্থাপন করা উচিত।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে আলোচনা বা অবগত করেননি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির আহমেদ জানান, বিষয়টি অবগত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান শিক্ষককে বলে দোকানঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সরকারী হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন বলেন,বিদ্যালয়টি এখনও পুরোপুরি সরকারী হয়নি। পুরোপুরি সরকারী হলে হয়তো আমরা এভাবে ইচ্ছামত নির্মাণ কাজ করতে পারব না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন