পীর হাবিবের মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহে সাংবাদিক-সহকর্মীসহ শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তার মরদেহ আনা হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানেও সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের মরদেহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে তার মরদেহ নেওয়া হবে বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে। আগামীকাল তাকে সুনামগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গতকাল শনিবার বিকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পীর হাবিবুর রহমান মারা যান। শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পীর হাবিবুর রহমান স্ট্রোক করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, নগরের নেতা মোর্শেদ কামাল, মিরাজ হোসেন, গোলাম সরোয়ার কবির, আব্দুল মতিন ভূইয়া, জগলুল কবির, আক্তার হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, শরিফুল ইসলাম শরিফ, গিয়াস উদ্দিন পলাশ, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ তাজ প্রমুখ।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, জাতীয় পার্টি, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে, রাবির ব্যাচ ৮৭, আমরা মুক্তিযাদ্ধা সন্তান, বাংলাদেশ আবৃত্তি পরিষদ, ফুটবলার কায়সার আহমেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহ। এরপর বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়ীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পীর হাবিবুর রহমান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন