পুঁজিবাজারের সব ধরনের ফি ভ্যাটমুক্ত

পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে পুঁজিবাজারের সব ধরনের সেবার ফিতে ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে কাজ করছে সরকার। এ খাতের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কয়েক বছরে অনেক সংস্কার করা হয়েছে। এর সুফল পেতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেইকহোল্ডাররা। বাজারকে আরও গতীশিল করতে পুঁজিবাজারে সেবার সব ধরনের ফিতে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ব্রোকার ও ডিলারদের লাইস্যান্স নবায়ন, সিডিবিএল ফি, মার্চেন্ট ব্যাংকারদের বার্ষরিক ফি, ট্রেক নবায়ন, বিক্রয় প্রতিনিধিদের ট্রেড সার্টিফিক্যাট (টিসি) এবং প্রতি ৫ বছর পর অনুমোধিত প্রতিনিধিদের লাইস্যান্স নবায়ন করতে হয়। এর সঙ্গে ভ্যাট সম্পৃক্ত আছে। এগুলো থেকে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পুঁজিবাজারে স্টার্ট-আপ নতুন কোম্পানির মূলধনের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অল্টানেটিভ ইনভেস্টমেন্ট) রুলস, প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে লেনদেনে স্বচ্ছতা আনায়নের লক্ষ্যে আধুনিক সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমও ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পুঁজি গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে স্মল ক্যাপ বাজার গঠনের কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।’

নতুন পণ্য এক্সচেঞ্জ ট্রেডেট ফান্ড গঠন করার জন্যও আইন করা হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়নের লক্ষ্যে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য আলাদাভাবে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের কারিগরি এবং পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় কৌশলগত বিনিয়োগকারী অব্যাহত থাকবে।’