পুত্রসন্তান লাভের ‘অব্যর্থ উপায়’ আয়ুর্বেদের পাঠ্যক্রমে!
কেউ বলছেন কুসংস্কার। আবার কেউ বলছেন চরম অবৈজ্ঞানিক। আবার কারও মতে, ভাবাদর্শের অধঃপতনের পরিণতি। ভারতের মহারাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস–এর আয়ুর্বেদ স্নাতক বিভাগে নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা ভারত জুড়ে।
জানা গেছে, আয়ুর্বেদের তৃতীয় বর্ষের পাঠ্যক্রমে পুত্রসন্তান লাভের ‘অব্যর্থ উপায়’কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানে দু’টি উপায় বলা হয়েছে। প্রথমটিতে আস্তাবলে বেড়ে ওঠা উত্তর বা পূর্বমুখী একটি বট গাছের দু’টি ডাল, বিউলির ডাল এবং সর্ষের বীজের দু’টি দানা নিয়ে ভালভাবে বেটে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গর্ভবতী নারীরা পুত্রসন্তান লাভ করবেন।
দ্বিতীয় উপায়টিতে সোনা, রুপো অথবা লোহা দিয়ে একটি পুরুষের দু’টি ছোট মূর্তি তৈরি করে আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে। এর পরে মূর্তি গলে গেলে সেটি দুধ, জল বা দইয়ে মিশিয়ে পুষ্প নক্ষত্র মুহূর্তে খেয়ে নিতে হবে। তাহলেই নাকি পুত্রসন্তান লাভ সুনিশ্চিত।
দ্বিতীয় শতাব্দীতে রচিত আয়ুর্বেদ গ্রন্থ চরক সংহিতা থেকে এই টোটকাগুলি নেওয়া বলে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টিতে মুখ খুলেছেন, জন্মের আগে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় যে জেলা নজরদারি কমিটি রয়েছে, তার অন্যতম সদস্য গণেশ বোরহাদে।
তার দাবি, শুধুমাত্র গ্রাম নয়, মুম্বাই, পুণে বা নাসিকের মতো শহরেও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের পসার রয়েছে। তাদের যদি এই শিক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে সমাজের উপরে তার কী প্রভাব পড়বে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারই আয়ুর্বেদের স্নাতকের এই পাঠ্যক্রম ঠিক করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন