পুরুষের লিঙ্গ কর্তনের শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ড’ দাবি

পুরুষের লিঙ্গ কর্তন বা অন্য কোনও উপায়ে পুরুষত্বহীন করা হলে অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন।

মানববন্ধনে বক্তারা লিঙ্গ কর্তনকে ধর্ষণ সমতুল্য কিংবা ধর্ষণের চেয়েও গুরতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, ধর্ষণের শিকার একজন নারী পুনরায় বিয়ে করতে পারেন, সন্তান জন্ম দিতে পারে, যৌন জীবনে সক্রিয় থাকতে পারেন। যা লিঙ্গ কর্তনের শিকার পুরুষ পারেন না।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুরুষের প্রতি যৌন সহিংসতা বন্ধ করার দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আইন উপদেষ্টা সপ্রিম কোর্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাওসার হোসাইন, এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, আলমগীর আহমেদ ও তাহমিনুর রহমান সজীবসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, পুরুষের প্রতি যৌন সহিংসতা হিসেবে লিঙ্গ কর্তনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। কখনও স্ত্রীর দ্বারা বা কখনও অন্য দুর্বৃত্তদের দ্বারা পুরুষাঙ্গ কর্তনের মত নৃশংস অপরাধের শিকার হচ্ছে পুরুষ। এ অপরাধের ফলে যৌন জীবন ও পিতৃত্বের ক্ষমতা আজীবনের মত হারিয়ে ফেলছে পুরুষ।

অনেক সময় এই গুরুতর জখমের ফলে মৃত্যুবরণও করছে। অথচ অপরাধের মাত্রা ও ভিক্টিম পুরুষের ক্ষতির তুলনায় লিঙ্গ-কর্তনের অপরাধীদের অনেক লঘু শাস্তি হচ্ছে। আমরা লিঙ্গ কর্তনের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধানের দাবি জানাচ্ছি- বলেন তিনি।

উক্ত বিশ্লেষণ থেকে এটি স্পষ্ট যে মারাত্মক অন্ত্র বা মাধ্যম বাযবহার করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার মতো অপরাধ করা হলে তার শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যমান শাস্তি বলবৎ থাকার পরেও এই অপরাধটি সংঘটিত হওয়ার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এবং এটি একটি নিষ্ঠুরতম অমানবিক অপরাধ, যা একজন পুরুষকে জীবিত অবস্থায় মৃতের মত করে বাঁচিয়ে রেখে অসহনীয় মানসিক হতাশা ও যন্ত্রণা দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।