পুলিশের দুটি গাড়ি আটকে দিলো শিক্ষার্থীরা
’গাড়ি চালাচ্ছেন- লাইসেন্স আছে কি?’। বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভারদের কাছে এই প্রশ্ন রাজধানী জুড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। যাদের লাইসেন্স নেই তাদের গাড়ি আটকে রাখছে তারা। এই অবস্থায় আটকে দেয়া হচ্ছে গাড়ি। এরই ধারাবাহিকতায় তেজগাও থানার দুই গাড়ি আটকা পড়েছে শিক্ষার্থীদের কাছে। বাকবিতণ্ডাতেও ছাড় দেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে থানার ভিতরে চলে যায় গাড়িতে থাকা ১০-১২ জন পুলিশ।
আন্দোলনে থাকা প্রীতি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা পুলিশের গাড়ির চালকের লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানায় লাইসেন্স নেই। অন্য আকেটি গাড়ির সিটবেল্ট নেই, গাড়ির লাইসেন্সও দেখাতে পারেনি। এজন্য আমরা গাড়ি দুটি আটকে দেই। এসময় পুলিশ আমাদের নামে মামলা দেয়ার হুমকি দিলে তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেই।
তেজগাওয়ে আটকে দেয়া গাড়ি দুটির নম্বর হলো- ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৩৪৭৪। অন্যটির নম্বর প্লেটের গাড়ির ইঞ্জিন নম্বর লেখা- ৮০৩৭০।
একজন পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা নিয়মিত ডিউটির অংশ হিসাবে থানা থেকে বের হচ্ছিলাম। কিন্তু গাড়ি আটকে দিয়েছে শিক্ষর্থীরা। বাধ্য হয়েই থানায় ফিরে যাচ্ছি। লাইসেন্স আছে কিন্তু ড্রাইভার সেটা বাসায় রেখে এসেছে। অন্যটি সিটবেল্ট সংক্রান্ত সমস্যা খাকায় আটকে দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা সড়ক অবরোধ করেনি। গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স চেক করছেন তারা।
উল্লেখ, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার প্রতিবাদ ও নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দলে দলে গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স যাচাই করছেন তারা। এসময় যেসব চালকের কাছে বৈধ লাইসেন্স পাওয়া গেছে, তাদের ছেড়ে দেয় তারা।
এসময় তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভিজে ভিজে আন্দোলন করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। আজ সারাদেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও শিক্ষার্থীদের গায়ে ইউনিফর্ম ছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন