পুলিশের নজরদারিতে আছে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান জানিয়েছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কারামুক্ত হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা পুলিশের নজরদারিতে আছে।
তিনি বলেছেন, এ রকম যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভিল্যান্সে আছেন। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে এক ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনী শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ২৬ আগস্ট ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী জামিনে মুক্তি পান। এছাড়া শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, সানজিদুল ইসলাম ইমন ওরফে কলাবাগান ইমন, আব্বাস, টিটন, পিচ্চি হেলাল, ফ্রিডম রাসুর মতো শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তারা খুন, চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও দখলবাজির অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় দীর্ঘ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ক্ষমতার পালাবদলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য কাজে ফেরেননি বলে যে গুঞ্জন আছে তা উড়িয়ে দেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, যারা যোগদান করেননি, সেটা একেবারেই মিনিমাম নাম্বার। যারা যোগদান করেননি, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।
মাইনুল হাসান বলেন, ঢাকার সব থানার কার্যক্রম চলছে, ৩-৪টি থানা রিপেয়ারের অপেক্ষায় আছে। যেগুলো আগামী ৪-৫ তারিখের সধ্যে কমপ্লিট হয়ে যাবে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের একটি কাজ প্রতিরোধমূলক; যে ব্যবস্থায় আমাদের টহল ব্যবস্থা থাকে, যাতে অপরাধ সংগঠিত না হয়। আর যখন অপরাধ হয়ে যায় তখন আমরা বিষয়টিকে তদন্তে নিয়ে আসি- অপরাধীকে যাতে খুঁজে বের করা যায়।
তিনি বলেন, খুনের ঘটনা যেগুলো হয়েছে সেসব প্রপার ইনভেস্টিগেশন করে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সব বিষয়ে কাজ করছি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। গতকাল রাতেও জেনেভা ক্যাস্পে যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ অনেকে গ্রেফতার রয়েছে। এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া, এমন অভিযান চলমান থাকবে।
এর আগে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েসন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী বক্তব্যে মাইনুল হাসান বলেন, ডিএমপি সবসময়ই ক্রাইম রিপোর্টারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই। ডিএমপি ঢাকা মহনগরীর শান্তি-শৃঙ্খলায় কাজ করছে। ক্রাইম রিপোর্টাররাও তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছেন।
ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন, আবুল খায়ের, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাকিব মানিকসহ ডিএমপি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন