পুষ্টিকর মাছ পেতে হলে কাপ্তাই হ্রদকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
যদি এখনও আমাদের শুনতে হয় যে পরীক্ষার আগের দিন রাঙ্গামাটির শিক্ষার্থীদের বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, তাহলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রেখে আমরা কী করব যদি এটি থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষের সেবা দিতে না পারে!
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায়, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাপ্তাই হ্রদের অংশীদারদের সাথে এক সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার এই কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এত দিন ধরে কেন হ্রদটি খনন করা হয়নি? হওয়া উচিত ছিল। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, একটি হ্রদ খনন করতে না পারলে দেশ কতটা খারাপ অবস্থায় ছিল তা স্পষ্ট।
উপদেষ্টা আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদ খনন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হ্রদ দূষণের কারণে মাছের ঝুঁকি বাড়ছে। পুষ্টিকর মাছ পেতে হলে হ্রদকে দূষণমুক্ত রাখার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, সারা দেশে সকল ধরণের মশারি জাল তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় বাজারে মাছের অত্যধিক দাম নিয়ন্ত্রণে মাছের দাম নির্ধারণ, কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে পোস্টকার্ড নিয়োগ এবং কাপ্তাই হ্রদকে দখলমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) ফারাহ শাম্মী, এনডিসি, বি বিএফডিসি রাঙ্গামাটি কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক হায়দার, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তুষার কান্তি চাকমাসহ জেলে, মাছ ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




