পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও আলু আমদানি বন্ধ

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও বাংলাদেশে আলু রপ্তানিতে স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যে অভ্যন্তরীণ সংকটে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। ফলে পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে।

আলু আমদানি বন্ধের কারণে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় আলু বন্দরের পাইকারি মোকামে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা দরে।

অন্যদিকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করবে এমন খবরে মোকামে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন বন্দরে আসা পাইকাররা।

হিলি স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসএম রেজা আহমেদ বিপুল বলেন, হঠাৎ করে আলু আমদানি বন্ধের কারণে এলসিকৃত আলু আমদানি না হলে ক্ষতির মুখে পড়বে বন্দরের ব্যবসায়ীরা। আমরা আলু আমদানির জন্য প্রচুর পরিমাণ এলসি করে রেখেছি। আলু আমদানি না হলে এলসিকরা টাকা, বুকিংকৃত টাকা নিয়ে আমরা টেনশনে আছি।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলাদেশে আলু রপ্তানি না করার ক্ষেত্রে আলুবাহী ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ রেখেছে। এ কারণে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও আলু আমদানি হচ্ছে না। ফলে আলুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে হিলি কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, বন্দরে আসা সকল কাঁচাপণ্য দ্রুত ছাড়করণসহ সকল সহযোগিতা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শনিবার ও রোববার দুই দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ৩২ ট্রাকে ৯২৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ৬৬ ট্রাকে ২ হাজার ৩৫ মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ২৫ সেপ্টম্বর থেকে ভারত হতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হয়।
সৌজন্যে: যুগান্তর