পেয়ারা বিক্রেতা যখন এএসপি!
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বিক্রি করছেন পেয়ারা! আর সেই ছবিই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটাগরিকরা।
ভারতের মুর্শিদাবাদের ব্যস্ত বহরমপুর শহরে সকালে বাজার করতে এসেছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার। এ সময় তাকে দোকান দেখতে বলে বাসায় খেতে চলে যান এক পেয়ারা বিক্রেতা।
অবশ্য ওই দোকানি জানতেন না যাকে তিনি দোকান দেখার দায়িত্ব দিয়ে চলে এসেছেন তিনি পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বাজারে তন্ময় সরকারকে দেখে ওই দোকানি অনুরোধ করে বলেন, ‘দাদা, আমার ভ্যানটি একটু দেখবেন। আমি খেয়ে আসি।’
তার আবেদন নাকচ করেননি এই এএসপি। সাড়া দেন তন্ময় সরকার। তিনি ভ্যানের দিকে শুধু নজরই রাখেননি, বিক্রিও করেছেন। ক্রেতারা যাতে ফিরে না যান, তাই নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন দাঁড়িপাল্লা।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, প্রায় ২০ মিনিট এভাবে দাঁড়িপাল্লায় মেপে পেয়ারা বিক্রি করতে দেখা গেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে। পুরো ঘটনায় অবাক সেই বিক্রেতা নিজেও।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিদিন এই এলাকায় পেয়ারা বিক্রি করি। শনিবার সকালেও দোকান খুলে বসেছিলাম। আমি না চিনেই তাকে পেয়ারার ভ্যানটি দেখতে বলি। আমি তখন জানতাম না উনি এতবড় একজন পুলিশ অফিসার। উনি যে নিঃশব্দে আমার অনুরোধ মেনে নেবেন, ভাবতেই পারিনি। তবে আমি খুশি উনি এভাবে আমার ভ্যান থেকে পেয়ারা বিক্রি করায়।’
বিক্রেতা ফিরে আসার পর নিজ থেকেই বিক্রির হিসেব বুঝিয়ে চলে গিয়েছিলেন তন্ময়। পরে দেখতে পান তার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
তন্ময় আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানান, মাঝেমধ্যেই এভাবে পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান তিনি। শহরের যানবাহনের পরিস্থিতি দেখতে দেখতে শনিবারও বেরিয়েছিলেন। এভাবে খবরটি ভাইরাল হবে বুঝতে পারেননি।
পুলিশ কর্মকর্তার এই কর্মকাণ্ডে খুশি ক্রেতারাও। তার হাত থেকে পেয়ারা কিনে খেয়ে তাদেরও দিনটি স্মরণীয় হয়ে রইল বলে নেট মাধ্যমে জানাচ্ছেন অনেকেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন