পে-প্যাল, স্ক্রি-প্যাল কি শীঘ্রই আসছে বাংলাদেশে?
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বা আউটসোর্সিং খাতে অন্তত ২০ লাখ তরুণ-তরুণীকে নিয়ে আসতে চায় সরকার।
বর্তমানে এই খাতে বাংলাদেশের ৬ লাখ তরুণ কাজ করছে বলে তিনি জানান।
মি. পলক বলেন, “সরকারের বিভিন্ন সেবা আমরা অনলাইনে এনেছি এবং শিক্ষাব্যবস্থায় ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার শুরু করেছি।”
এক লক্ষ সত্তর হাজার স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী তিন বছরের মধ্যে সরকারের ইন্টারনেটে সংযুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান মি. পলক।
“এই বছরের মধ্যে প্রায় চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদকে হাই স্পিড ফাইবার অপটিক কেবলের আওতায় আনা হবে, তখন ঐ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো একটি করে ডিজিটাল অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্র হয়ে যাবে।”
মি. পলক বলেন আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহীদের আরও সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
“আমরা চাই ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে। তখন একজন ফ্রিল্যান্সার আরো দশজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবেন।”
প্রতিবন্ধকতা: অনলাইন লেনদেনে কড়াকড়ি
কিন্তু এই আউটসোর্সিংয়ে জড়িতদের অভিযোগ, ইন্টারনেটে দ্রুতগতির অভাব, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নানা বিধিনিষেধের কারণে তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।
তাহলে সরকার কীভাবে মাত্র তিন বছরের মধ্যে তরুণদের এই খাতে আগ্রহী করে তুলবে?
বাংলাদেশে সীমিত আকারে অনলাইনে লেনদেন হলেও নানা ধরণের বিধিনিষেধ রয়েছে এই ক্ষেত্রে।
মি. পলক জানান অনলাইনে অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়টি সহজ করতে এরই মধ্যে বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা করছেন তারা।
“অনলাইনের মাধ্যমে ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স হচ্ছে অর্থাৎ দেশের বাইরে থেকে টাকা আসছে। আউটওয়ার্ড রেমিট্যান্স বা দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে আমরা আলোচনা করছি”, বলেন মি. পলক।
“আমার আশা করছি অল্পদিনের মধ্যে ‘ইলেকট্রনিক নো ইওর কাস্টমার’ সার্ভিসটি চালু করতে পারলে পে-প্যাল, স্ক্রি-প্যাল, পে-ওনিয়ারের মত ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ের ওয়ালেট বাংলাদেশে খোলা সম্ভব হবে।”
মি. পলক মন্তব্য করেন বর্তমান সরকার ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে, হাইস্পিড ফাইবার অপটিক কেবল ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
“এই অবকাঠামো তৈরি করার জন্যই লক্ষ্য লক্ষ তরুণ তরুণির কর্মসংস্থান হয়েছে এবং আগামী তিনবছরের মধ্যে তা আরো বাড়বে বলে আমি আশাবাদী”, বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
-বিবিসি বাংলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন