পোপ-মিয়ানমার সেনাপ্রধানের আকস্মিক বৈঠক
মিয়ানমারে সফররত পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দেশটির সেনাপ্রধানের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৩০ নভেম্বর। কিন্তু সফরের প্রথম দিনেই আকস্মিকভাবে বৈঠকটি সেরে নিয়েছেন দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা সিনিয়র জেনারেল মিং অন।
জেনারেল মিং অনের অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্ট এবং ভ্যাটিক্যান মুখপত্র ক্রাক্স-এর ওয়েবসাইট ১৫ মিনিটের ওই বৈঠকের খবরটি নিশ্চিত করেছে। ক্রাক্স বৈঠকটিকে ‘অনির্ধারিত’ আখ্যা দিলেও এতে রোহিঙ্গা প্রশ্ন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।
আকস্মিক ওই বৈঠকে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ‘চিহ্নিত’ তিন নীপিড়নকারী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ছিলেন। তাই বৈঠকটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের আগ্রহ বেড়েছে। শীর্ষস্থানীয় এই সামরিক কর্মকর্তাদেরই রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন এবং ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে দেশছাড়া করার মূল হোতা বলে মনে করা হয়।
তাছাড়া, পোপে মিয়ানমারে আসার আগেই তাকে রাখাইনে নির্যাতিত মুসলিমদের ‘রোহিঙ্গা’ না বলার জন্য আহবান করা হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিস সোমবার (২৭ নভেম্বর) ইয়াঙ্গুনে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের বৈঠকের খবর জানা গেল। ভ্যাটিকানের মুখপাত্র এ নিয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত কিছু জানাননি।
অনুষ্ঠিত বৈঠককে অনানুষ্ঠানিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, চলমান গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারে বিভিন্ন কতৃপক্ষের দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
এদিকে সিনিয়র জেনারেল সিনিয়র জেনারেলের দাফতরিক ফেসবুক পাতায় দেওয়া এক পোস্ট অনুযায়ী, পোপকে স্বাগত জানিয়ে দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারে কোনো সাম্প্রদায়িক বিভেদ নেই। সেখানকার কর্তৃপক্ষ সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। সেনাবাহিনীও কারো প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে না।
তবে দুই পক্ষের কারো তরফ থেকেই বৈঠকের বিস্তারিত জানা যায়নি। মিয়ানমারে তিনদিনের সফর শেষে ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশের উদ্দেশে নেপিদো ছাড়বেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন