প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে খুলনার কয়রা উপজেলা জামায়াতের প্রতিবাদ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ “স্কুল শিক্ষককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কয়রা উপজেলা। জামায়াতে ইসলামীর কয়রা উপজেলার আমীর মাও. মিজানুর রহমান এবং সেক্রেটারী শেখ সায়ফুল্যাহ এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) কয়রা উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদে বর্ণিত উত্তর বেদকাশী সরকারি দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক বিএম হুমায়ুন কবীরকে তুলে নিয়ে মারধর ও হেনস্তার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। তিনি তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘‘এই মালটাকে খুব ভালো মনে করেছিলাম। কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম তার রাজনীতি শুরু হয় বামদের হাত ধরে উপরন্তু সে একজন ব্যবসায়ী।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বস্তুত জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে জনমনে সংশয় ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের অসত্য খবর পরিবেশন করা হয়েছে। পত্রিকায় উল্লিখিত সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষক হুমায়ুন কবীরকে কোন প্রকার হেনস্তা ও মারধর করা হয়নি।

‘‘প্রকৃত বৃত্তান্ত হলো সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষক হুমায়ুন কবীর তার ফেসবুক আইডিতে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমীরে জামাত ডা. শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষায় পোস্ট দিলে শিক্ষক হুমায়ূন কবীরের নিজ গ্রামের লোকজনের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তিকর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

বিষয়টি উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওঃ মিজানুর রহমান জানতে পেরে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করে বিষয়টি সুরাহ করার অনুরোধ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হুমায়ুন কবীরকে ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে পাঠান।

সেখানে ইউএনও রুলী বিশ্বাস, ওসি ইমদাদুল হক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক তপন কুমার কর্মকার, উপজেলা আমীর মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিক্ষক হুমায়ুন কবীর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার ভুল স্বীকার করেন।

তখন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে তাকে উক্ত পোস্ট মুছে দিতে বলা হয় এবং ভবিষ্যতে কারো বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর পোস্ট প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয় এবং বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা হয়।’’

‘এমতাবস্থায় একটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয় নিয়ে অসত্য কাহিনীর অবতারণা করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হেয় প্রতিপন্ন করে দৈনিক সমকাল, দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক সময়ের পত্রিকায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংবাদ পরিবেশন করায় আমরা বিব্রত হয়েছি এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এসময় সাংবাদিকদের কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভবিষ্যতে এরূপ অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকার জন্য একান্ত অনুরোধ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী কয়রা উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মাও. শেখ সায়ফুল্যাহ।