প্রকাশ্য সমাবেশে কুরআন ছুড়ে মারলো তরুণী
উত্তর ইউরোপের স্ক্যান্ডেনিভিয়ান দেশ নরওয়ে। সম্প্র্রতি দেশটিতে ইসলাম ও মুসলমানদের চলাফেরা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধে জোর দাবি ও প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে দেশটির ‘স্টপ ইসলামাইজেশন’ নামে ইসলাম বিদ্বেষী একটি দল। সেখানে পবিত্র কুরআন ছুড়ে ফেলেন। খবর আনাদুলু এজেন্সি।
নরওয়ের রাজধানী অসলোতে ‘স্টপ ইসলামাইজেশন’ নামে ইসলাম বিদ্বেষী দলটির প্রধান অ্যানা ব্রাটেন প্রকাশ্য সমাবেশে পবিত্র কুরআনুল কারিম ছুড়ে ফেলে দেন।
অ্যানা ব্রাটেন ইসলাম, হিজাবসহ অনেক বিষয়ে দীর্ঘ সময় বক্তব্য দিতে থাকেন। পুলিশি প্রহরায় এ বক্তব্য দেয়া কালে হঠাৎই কুরআনের একটি কপি বের করেন।
উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা কুরআনের কপিটি সংরক্ষণে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে অ্যানা ব্রাটেন পবিত্র কুরআনের কপিটি প্রতিবাদকারী মুসলিমের দিকে ছুড়ে ফেল দেন।
অ্যানা ব্রাটেনের সমাবেশ স্থলে মুসলিমরা তার বক্তব্য ও দাবির তীব্র প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদকারীদেরকে নরওেয়ের পুলিশ সমাবেশস্থলে প্রবেশ না করতে বেরিকেড দিয়ে রাখেন।
সমাবেশে অ্যানা ব্রাটেন ঘোষণা করেন, নরওয়েতে ইসলামের কোনো স্থান নেই। কুরআনের সব কপি ধ্বংস করা হবে। মুসলিম সম্প্রদায়কে গালাগাগি করেন। হিজাবকে কটুক্তি করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা বিশ্বে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি চলছে চরম অবমাননা। এ প্রবণতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ মাসের শুরুর দিকে জার্মানির দুই মসজিদে পবিত্র কুরআন অবমাননাসহ মসজিদের জানালা দরজা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ড্যানিশ পার্লামেন্টের সামনে শুক্রবার মুসলিমদের প্রার্থনার প্রতিবাদে পবিত্র কুরআনের অগ্নি সংযোগ করেন ড্যানিশ চরমপন্থী নেতা রাসমুস পালোদুন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন