প্রচন্ড গরমে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট; বেশিই আক্রান্ত বৃদ্ধ ও শিশুরা
টানা বেশ কয়েক দিনের প্রখোর রৌদ্র আর সূযের্র তীব্র তাপদাহে একদিকে যেমন জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে তেমনি উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈলের উপজেলায় হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে প্রতিনিয়ত অসুস্থ্যতায় ভর্তি হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বৃদ্ধরা।
ভেপসা গরমে আখের রস বিক্রেতার দোকানে যেমন ভির কমছেনা তেমনি লেবু বরফ মিশিয়ে শহরের বিভিন্ন শরবত দোকানিদের ভিরও বেড়েই চলছে এই মৌসুম তাপ দাহে।
বুধবার দুপুরে কলেজ হাটে আসা দোকানি ও ক্রেতাদের এমন প্রচন্ড গরমে নিস্তার পেতে মাথার উপর ছাতা কিংবা দোকানে রৌদ্র ঠেকাতে কাপড় টাঙ্গানো দেখা গেছে। ঠান্ডা বাতাস আর সামান্য ছায়া পেতে কলেজ বাজারের ক্রেতা— বিক্রেতারা যেন কিছু একটা খুঁজছে।
অসহনীয় প্রচন্ড গরমে এবং শেষ রাতের হালকা কুয়াশায় তাপমাত্রার হেরফেরে গ্রাম কিংবা শহরে শিশু, বয়স্কদের জ্বর—সদি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে ।
তীব্র তাপদাহে কয়েকদিন থেকে উপজেলার পৌরসভাসহ ৮ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট—বাজারে দিনের বেলায় মানুষের সমাগম কিছুটা কমেছে। প্রচন্ড গরমে কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দুপুরে বন্ধও রাখতে দেখা গেছে। প্রচন্ড তাপদাহ থেকে একটু স্বস্তি পেতে কেউ কেউ গাছের তলে বাঁশের টং বানিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। অনেকে আবার ঘন ঘন ঠান্ডা পানিতে গোসল করছে। কেউ কেউ খাচ্ছে পানি, শরবত ও আখের রস।
এমন বৈরী আবহাওয়ায় ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রা উঠানামা করছে। প্রচন্ড গরমে সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষের ভিষণ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, বিশেষ করে তীব্র রোদের তাপের কারণে দিন মুজুর, রিকশাচালক, কুলি ও ভ্যানচালকরা কাজে করতে পারছেন না। ফলে তীব্র তাপদাহে অনেবকেই অলস সময়ও পাড় করতে হচ্ছে । আবার অনেকেই জীবন—জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেড়িয়েছেন মাথায় চাতা কিংবা বেজা গামছা বেধে।
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফিরোজ আলম জানান, প্রচন্ড তাপদাহের জন্য উপজেলায় জ্বর—সর্দি ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের মতো রোগে অনেকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছে। এমন কি শিশুরা নিউমোনিয়ায় রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন