প্রতিটি জেলায় ডিএনএ ফরেনসিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হবে: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ধর্ষণের ঘটনায় দেশের সব অঞ্চলে ডিএনএ সার্টিফিকেট নেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এ সুবিধা অপ্রতুল হওয়ায় ধর্ষণের মামলার বিচার অত্যন্ত দেরি হয়ে যেতো। আমরা অংশীজনদের আলাপ করে এখানে পরিবর্তন আনব যে উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করে কেবল মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে মামলার বিচার করা সম্ভব, তাহলে সেটা করতে পারবে। মাগুরার ঘটনার মতো অনেক ক্ষেত্রে আসামি হাতেনাতে ধরা পরে। অন্তত এসব ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ রোধকল্পে ডিএনএ সার্টিফিকেটের বিষয়ে এ পরিবর্তনটা আনার চিন্তা করছি। প্রতিটি জেলায় ডিএনএ ফরেনসিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে।

রোববার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, কয়েক দিনে যেসব মব জাস্টিস এবং মোরাল পুলিশিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, সেই বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সব ঘটনা সরকারের পর্যবেক্ষণে আছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে কোনো অপরাধী বিচারের বাইরে থাকবে না।

তিনি বলেন, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দমনে সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সব ধর্ষণের মামলার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিকল্পে মামলাগুলো নিয়মিত পর্যালোচনায় আনছে। রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশ দ্রুত আলাদা হটলাইন চালু করবে।

তিনি বলেন, বিচারের ক্ষেত্রেও সময় কমিয়ে অর্ধেক করে দিচ্ছি। ধর্ষণের মামলায় বিচার করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে। ধর্ষণ মামলা ৯০ দিনের মধ্যে শেষ না হলেও সেই অজুহাতে আসামির জামিন দেওয়া যাবে না।

ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে কোনো কর্মকর্তার যদি কোনোরকম গাফলতি থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট বিধান আইনে সংযুক্ত করা হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।