প্রতিদিন করলা খেয়েই দেখুন!
১০০ গ্রাম করলায় মজুত রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, নানাবিধ উপকারি ভিটামিন এবং মিনারেল, যা শরীরে প্রবেশ করে রোগ প্রতিরোধক দেওয়ালে এতটাই শক্তিপোক্ত করে দেয় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, আছে আরও অনেক উপকার …
লিভার ফাংশনের উন্নতি ঘটে : করলা খাওয়া মাত্র শরীরে বিশেষ কিছু এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যার প্রভাবে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। করলায় থাকা মোমরোডিকা নামক একটি উপাদান লিভার ফেলিওর হওয়ার সম্ভাবনাকেও কমায়।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় : অপূর্ব সুন্দরী হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখলে রোজের ডায়েটে করলাকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন! কারণ এই সবজিটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, শরীরের প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে বলিরেখা গায়েব হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। ফলে স্কিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : প্রতিদিনের ডায়েটে করলাকে অন্তর্ভুক্ত করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ নিমেষে হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে সংক্রমণ বা ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে : এই ধরণার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে করলা। সবজিটিতে থাকা ক্য়ারেটিন নামে একটি উপাদান রক্তে বয়ে চলা ব্লাড সুগারের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা করলা অথবা করলার রস খেতে হবে, তবেই কিন্তু মিলবে উপকার।
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে : করলায় থাকা বেশ কিছু উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেল যাতে জন্ম নিতে পারে সেদিকে নজর রাখে। ফলে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। অ্যানিমিয়া এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই সবজিটি দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।
বিষমুক্ত হয় শরীর : সুস্থভাবে বাঁচতে রক্তের দেখভাল করাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কীভাবে? প্রতিদিন করলা খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই উপকার মিলবে। কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত “ব্লাড পিউরিফাইং এজেন্ট” রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পাইলসের কষ্ট কমে : প্রতিদিন সকাল নিয়ম করে ১০০ গ্রাম করলা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন এক মাসেই পাইলসের যন্ত্রণা একেবারে কমে যাবে। আর যদি কাঁচা করলা খাওয়া পাশাপাশি করলা গাছের মূল বেটে নিয়ে সেই পেস্ট পাইলসের উপর লাগাতে পারেন, তাহলে আরও দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
পেটের রোগের প্রকোপ কমে : করলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি নানাবিধ স্টমাক ডিজঅর্ডারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র গ্যাস্ট্রিক জুসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে নানাবিধ পেটের রোগের লক্ষণ কমতে শুরু করে।
দৃষ্টিশক্তির উন্নত ঘটে : কাঁচা করলা অথবা করলার রস খাওয়া শরু করলে শরীরে প্রচুর মাত্রায় বিটা-ক্যারোটিনের প্রবেশ ঘটে, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই কম্পিউটার বা মোবাইলে মাথা গুঁজে বসে থাকেন, তারা যদি চোখকে বাঁচাতে চান তাহলে নিয়মিত করলা খেতে ভুলবেন না যেন!
ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে : অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে আজ থেকেই করলার রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এই পানীয়টি লিভার ফাংশন বাড়ানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটায়। আর একবার যদি হজম ঠিক মতো হতে থাকে, তাহলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমার সুযোগই পায় না। ফলে ওজন হ্রাস পেতে শুরু করে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন