‘প্রতিবিপ্লবের জন্য টাকা ছড়ানো হচ্ছে’


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলেও এখনো প্রতিবিপ্লবের জন্য টাকা ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নাসিমুল গনি।
তিনি বলেন, বিগত শেখ হাসিনা সরকার সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীকেও ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সশস্ত্র বাহিনীসহ সব জায়গায় মেধাহীন নিয়োগ দিয়ে নৈরাজ্য তৈরি করেছে। ৪০ লাখ মামলা রেখে গেছে। এখনো প্রতিবিপ্লবের জন্য টাকা ছড়ানো হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কমপ্লেক্সে এক সেমিনারে এ কথা বলেন নাসিমুল গনি।
‘জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং বিপ্লবোত্তর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে রাওয়া রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি ফোরাম (আরআরএসএফ)।
লে. কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ানের সঞ্চালনায় জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবে শাহাদাত বরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করা হয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তারা অগ্রভাগে ছিলেন বলে জানান সেনাকর্মকর্তা লে. কর্নেল মোশাররফ।
তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যরা সরাসরি মাঠে নেমে এই আন্দোলনে অংশ নেন।
লে. কর্নেল মোশাররফ বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গণঅভ্যুত্থানে দুইভাবে ভূমিকা রেখেছেন। অবসরপ্রাপ্তরা সরাসরি মাঠে নেমেছেন এবং চাকরিরতরা চূড়ান্ত সময়ে অবদান রেখেছেন। আবু সাইদ হত্যার পর সেনাবাহিনীর সব স্তরের সদস্যরা মাঠে নামেন। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তারা প্রতিবাদ ও জনসংযোগ শুরু করেন। ১৮ জুলাই মিরপুর ডিওএইচএস থেকে প্রতিবাদের সূচনা হয়। এটাই সর্বপ্রথম সশরীরে আন্দোলন।
মোশাররফ বলেন, সরকার পতনের এক মাস পার হলেও এখনও আমাদের বিষয়ে জানার আগ্রহ কারো নেই। আমাদের দাবি আদায়ে কোর্টে যাওয়ার অধিকারও নেই। অন্যান্য সেক্টরের মতো মেধাহীন পদোন্নতির মাধ্যমে এই সেক্টরকেও ধ্বংস করা হয়েছে। এ নিয়ে আগে থেকেই সশস্ত্র বাহিনীতে ক্ষোভ ছিল।
সেমিনারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নাসিমুল গনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত দেশ গড়তে দেশপ্রেমিক, নিবেদিত মানুষ এবং সঠিক তদারকি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি বেসরকারি অফিসার, প্রবাসী এবং বিদেশ থেকে সংশ্লিষ্টদের দিয়ে সংস্কার কাজ করা সম্ভব। সশস্ত্র বাহিনীতে বিভিন্ন খাতে দক্ষ অবসরপ্রাপ্ত চার হাজার জনবল আছে।
অপরাধীদের বিচারের দাবি জানিয়ে নাসিমুল গনি বলেন, বিগত সরকার সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীও ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সশস্ত্র বাহিনীসহ সব জায়গায় মেধাহীন নিয়োগ দিয়ে নৈরাজ্য তৈরি করেছে। অনেক সংকট ও ৪০ লাখ মামলা রেখে গেছে। এখনো প্রতিবিপ্লবের জন্য টাকা ছড়ানো হচ্ছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মাহবুবুল্লাহ, অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান, ডা. জাহেদ উর রহমান ও লে. আবু রুশদ।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন