প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে সম্মানহানীকর পোষ্ট, এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে প্রতিমন্ত্রীর মহিব্বুর রহমানের ভিডিও সুপার এডিট করে সম্মানহানীর লক্ষে একটি পর্নো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করার দায়ে এবার পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) সকালে মহিপুর থানা শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি মো: আবুল কালাম ফরাজী কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত বাদীর অভিযোগ, দাখিলী কাগজপত্র, ভিডিও পর্যালোচনা করে মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি মহিপুরকে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দেন। বাদীর নিযুক্তীয় কৌশুলী অ্যাডভোকেট মো: গোফরান বিশ্বাস পলাশ ও আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় মোঃ আরিফ বিল্লাহ নাসিম, মোঃ রনি হোসেন রকি, আসাদুজ্জামান কবির মল্লিক, মহসীন উদ্দীন হিমন, সায়েদ কায়সার সজীব সহ ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ত্রান প্রতিমন্ত্রীর সাথে অজ্ঞাতনামা এক ব্যাক্তির ম্যাসঞ্জোরে কথোপকথন সুপার এডটি করে তাঁর সম্মানহানী করার জন্য একটি র্পনো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করে অভিযুক্তরা।

প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি ও পরিচয় বিনানুমতিতে পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এতে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেয় আসামীরা। বিষয়টি বাদী সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি ও সরকারের বিভিন্ন মহলের দৃষ্টি গোচর হওয়ায় সকলের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এতে সংক্ষুব্দ হয়ে বাদী আসামীদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর পোষ্ট’র ঘটনায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ সহ তিন জনের নামে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী মো: মহিবুল্লাহ বাদী হয়ে ১০জুলাই বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।

বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক মো: গোলাম ফারুক’র সাইবার ট্রাইবুনাল সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ২৩, ২৫, ২৬, ২৯ ও ৩৩ ধারার অভিযোগে বাদীর দাখিলী কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীর নিযুক্তীয় কৌশুলী অ্যাডভোকেট ফাহাদ বিন আহসান ও ট্রাইবুনালের বেঞ্চ সহকারী মো: নাজমুল হাসান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।