প্রত্যেক বড় প্লেনে থাকা এই গুপ্ত কক্ষের কাজ কি?
এরোপ্লেনে যাত্রী পরবিহনের চমৎকার ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু যাত্রী পরিবহনের সুবিধা থাকার পাশাপাশি আরও কিছু গুপ্ত ব্যবস্থাও প্লেনের ভিতরে থাকে, যার কথা অনেকেই জানেন না। একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, বড় প্লেনগুলিতে প্লেনের ক্রিউয়ের বিশ্রামের জন্য থাকে একটি বিশেষ গুপ্ত কক্ষ।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বোয়িং ৭৭৭ এবং ৭৮৭ প্লেন-এ বিমান-কর্মীদের বিশ্রামের জন্য রীতিমতো বিলাসবহুল বন্দোবস্ত থাকে। এর জন্য তৈরি করা হয় একটি গোপন বিশ্রামাগার। গুপ্ত সিঁড়ির মাধ্যমে পৌঁছতে হয় সেই ঘরে। এক এক প্লেনে এক এক জায়গায় তৈরি করা হয় এই ঘর। তবে অধিকাংশ প্লেনেরই উপরের অংশে যে ভাবে লাগেজ বিন তৈরি করা হয়, সেই কায়দাতেই তৈরি হয় এই গুপ্ত বিশ্রামকক্ষ।
বিমানের পরিভাষায় একে বলা হয় সিআরসি বা ক্রিউ রেস্ট কম্পার্টমেন্টস। এক এক প্লেনে সিআরসি-র আয়তন হয় এক এক রকম। তবে ককপিট, এবং ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীদের মাথার উপরেই সাধারণত এই সিআরসি-কে গড়ে তোলা হয়।
কী থাকে এই সিআরসি-র ভিতরে? সাধারণত বোয়িং ৭৭৭-এর সিআরসি-তে থাকে ছয় থেকে ১০টি বিছানা। বিছানাগুলিতে লাগানো থাকে বেল্ট। ঝড়ঝঞ্ঝার সময়ে বিশ্রামরত বিমানকর্মীরা বিছানা থেকে যাতে পড়ে না যান, তার জন্যই করা হয় এই ব্যবস্থা। বিছানার সঙ্গেই থাকে লাগেজ রাখার জায়গাও। এ ছাড়া কোনো কোনো প্লেনে আবার টিভির ব্যবস্থাও থাকে।
বোয়িং ৭৭৭-এ আবার পাইলটের জন্য একটি আলাদা ঘর রেখে দেওয়া হয়। এই ঘরে দুটো বিছানা থাকে, থাকে দুটো বিজনেস সিট। এবং কোনও কোনও প্লেনে সেই সঙ্গেই একটি টয়লেটও রেখে দেওয়া হয়।
দীর্ঘক্ষণের উড়ানে কাজ করতে করতে বিমানকর্মীরা যাতে ক্লান্তি বোধ না করেন, এবং প্রয়োজন মতো রিল্যাক্স করে নিতে পারেন, সেই জন্যই এত সব ব্যবস্থা। কিন্তু ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এক পাইলট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সিআরসি-তে বিশ্রাম নেওয়ার অভিজ্ঞতা নাকি মোটেই সুখকর নয়। তাঁর বক্তব্য, ‘বিছানা খুব নরম আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে ঠিকই, কিন্তু ঘরগুলোতে কোনও জানলা থাকে না। একেবারে জানলাহীন একটা ঘরে শুয়ে থাকতে কেমন লাগে বলুন তো? ঠিক মনে হয়, একটি কফিনের ভিতরে শুয়ে রয়েছি। ’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন