প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন মেয়র আনিসুলের স্ত্রী

সদ্য প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার বনানীর বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মেয়রের বাসায় যান। তিনি সেখানে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করেন।

এ সময় মেয়র আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী তাকে সান্তনা দেন। পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী মেয়রের মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে সুরা ফাতিহা পাঠ করেন। এরপর আনিসুল হকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। আনিসুল হকের একমাত্র ছেলে নাভিদুল হক ও ভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল শফিউল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়রের মরদেহ বহনকারী যাত্রীবাহী বিমানটি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর বেলা ১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় ফ্লাইটটি।

পরে সেখান থেকে তার মরদেহ বনানীর বাসায় নেয়া হয়। এ বাসা থেকেই গত ২৯ জুলাই নাতির জন্ম উপলক্ষে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্য যান আনিসুল হক। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে লন্ডনের ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। প্রায় সাড়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি।

শনিবার দুপুরে মরদেহ বাসায় নিয়ে আসার পর আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাসায় ভিড় জমান বন্ধু, স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা। প্রিয় নগরপিতাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ভিড় করেন নগরবাসীরাও।

আনিসুল হকের মরদেহ বিকেল ৩টার দিকে রাখা হয় আর্মি স্টেডিয়ামে। বাদ আছর জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে শুক্রবার বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।