প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ব্যারিস্টার ফারজানা ছাত্তার এমপি

উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য জনবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য ও ঈশ্বরগঞ্জের গৌরব ব্যারিস্টার ফারজানা ছাত্তার এমপি মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বলেন এই বাজেট বাস্তবায়িত হলে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। ২০৩০ইং সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ইং সালে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে বাংলাদেশ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছর বর্তমান সরকার সফলতার সাথে তাদের প্রণীত বাজেট বাস্তবায়ন করছে বলেই দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে পৃথিবীতে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছিল।

কিন্তু আমাদের নেত্রীর বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মন্দার পরিবর্তে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় করোনা মহামারীর মত দুর্যোগকালেও সারাবিশ্বের অর্থনীতি তখন টালমাটাল ছিল, তখনও অগ্রযাত্রার পথ থেকে আমরা পিছিয়ে যাই নি।

ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের সব দেশেই প্রবৃদ্ধি হ্রাস, মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সহ উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হলেও আমাদের দেশের অর্থনীতিতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন মেগা প্রকল্প সহ উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান ছিল যা সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আধুনিক, যুগোপযোগী ও দূরদর্শী চিন্তাভাবনা থেকে প্রণীত বাজেট এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।

ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির যুগে বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশ গুটিকয়েক দেশের একটি, যেখানে বিশ্বের মোড়লদের প্রেসক্রিপশন আমলে না নিয়ে আপামর জনসাধারণের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে গণমুখী বাজেট প্রণয়ন করা হয়।

এর মাধ্যমে হয়তো ধনী ও উচ্চবিত্তদের স্বার্থ রক্ষা হয় না, এতে হয়তো এলিটরা অসন্তুষ্ট হন, কিন্তু দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, ছাত্র-যুবক, তথা দরিদ্র, অসহায় ‍ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুঃখ কষ্ট লাঘবের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। জনবান্ধব এ বাজেটে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

সত্যিকার অর্থে দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তা বলতে যা বোঝায়, আমাদের দেশে তা শুধুমাত্র কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আমাদের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন যার স্বীকৃতি দিয়েছে সারাবিশ্ব। আমরা দেখেছি সারাবিশ্বে বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে বাজেট পেশ করার পর সরকারি দল প্রশংসা করেন আর বিরোধীরা সমালোচনায় মেতে ওঠেন।

কিন্তু আমরা যদি বিবেক জাগ্রত করে চিন্তা করি তাহলে দেখতে পাবো, অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি সহ আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা দৃশ্যমান। সুবিবেচক সমালোচকরাও নিশ্চয়ই স্বীকার করেন যে, দেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে।

বিশ্বে উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্র বাংলাদেশের এই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নেপথ্যের রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের পেশ করা বাস্তবায়নযোগ্য ২১টি সফল বাজেট।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটও পূর্বের ন্যায় সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করেই প্রণয়ন করা হয়েছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের সকল সাধারণ জনগণ ও ঈশ্বরগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।