প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়া-কোটালিপাড়া জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নির্বাচনী গোপালগঞ্জ-৩ আসনে জনসভা করতে গোপালগঞ্জ আসছেন। টুঙ্গিপাড়া-কোটালিপাড়ায় নিজ নির্বাচনী জনসভায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর (শনিবার) যাচ্ছেন টানা ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওইদিন সকালে টুঙ্গিপাড়ায় সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন। এরপরে কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ।

এর আগে ২৯ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার গণভবন থেকে সড়ক পথে তিনি বরিশালে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। পরে সেখান থেকে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে পৌঁছে তিনি জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং রাতে বঙ্গবন্ধু বাসভবনে রাত্রি যাপন করবেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত হবে। আশপাশের জেলা থেকেও অনেক মানুষ ভীড় করবেন তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য। তাই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় সব ধরনের কাজ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। প্রধানমন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিজ গ্রামের মানুষের কাছে আসছেন। তার ভোট চাইতে হবে না। তাঁকে একনজর দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সর্বস্তরের জনগণ।

দর্শনার্থী জনাব ইকবাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর মানসকন্যা শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকায় আগমনে আনন্দে উচ্ছ্বসিত টুঙ্গিপাড়ার সর্বস্তরের মানুষ। জনসভা সফল করতে রাত-দিন পরিশ্রম করছে স্থানীয় নেতাকর্মী সহ আয়োজক কমিটি। মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। ৩০ ডিসেম্বর সরাসরি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে পাবো, দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনবো, সেই আনন্দের অনুভূতি সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

কোটালিপাড়ার মেয়র মতিয়ার হাজরা বলেন, কোটালিপাড়ার ভোটারদের প্রাণ শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্য দিন গুনছেন কোটালিপাড়ার সর্বস্তরের মানুষ। ভোট চাইতে হবেনা প্রধানমন্ত্রীকে, তারা কথা দিতে চান, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে শতভাগ ভোট নৌকায় দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারো নির্বাচিত করতে চান ভোটাররা । চাওয়া একটাই প্রধানমন্ত্রীকে দেখা ও তার মুখে নির্বাচনী দিক-নির্দেশনা শোনা।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ বলেন, টুঙ্গিপাড়া প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এখান থেকে তিনি দেশের সর্বোচ্চ কাস্ট ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে সমাবেশ স্থলের স্টেজ নির্মাণ প্যান্ডেল, সাউন্ড সিস্টেমসহ অন্যান্য কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী, নির্মাণ, ইলেকট্রিকস, ডেকোরেটর কর্মীগন দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মাঠ প্রস্তুত করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই তারা সব কাজ শেষ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে টুঙ্গিপাড়ায় সর্বস্তরের মানুষ আনন্দে মেতে উঠেছে। তাদের প্রিয় নেতৃকে একবার কাছ থেকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তারা। গোপালগঞ্জের মানুষের কাছে কখনো ভোট চাইতে হয় না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবুও তিনি নিজ নির্বাচনী জনসভায় ভোট চাইবেন।