প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই রক্তাক্ত জনপদে বইছে শান্তির সুবাতাস : এমপি হেলাল

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আজ এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিত আত্রাই ও রাণীনগরে বইছে শান্তির সুবাতাস।

বিগত সরকারের আমলে এই অঞ্চলের অনেক আওয়ামী সমর্থিত মানুষকে দিনে দুপুরে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী বাহিনী সর্বহারা ও জেএমবির সদস্যরা। একসময় সন্ধ্যার পর এই অঞ্চলের মানুষরা ভয়ে বাহিরে বের হতে পারেনি।

কিন্তু আজ বর্তমান সরকারের শাসনামলে দিন-রাত উন্মুক্ত পরিবেশে সবাই বসবাস করতে পারছেন। ঘর থেকে বের হলেই ইটপাড়া ও পাঁকা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেন। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয় অসহায়, গরীব, ছিন্নমূল, দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষসহ সবাই শ্রেণি ভেদে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা পাচ্ছেন। উন্নয়নের এই চলমান ধারা থেকে শুধু এই অঞ্চলই নয় পুরো বাংলার প্রতিটি আনাচে-কানাচের সকল শ্রেণিপেশার মানুষরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের উপহার পাওয়া থেকে কেউই বঞ্চিত হননি। তাই আগামী নির্বাচনে আবারো উন্নয়নের প্রতিক নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে তার হাতকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই বলে জানান এমপি হেলাল।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর কলেজ প্রাঙ্গনে একডালা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্থ্যতার জন্য সভায় আগত সকলের কাছ থেকে তিনি দোয়া প্রার্থনা করেন।
একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল বারী মোল্লা, সহ-সভাপতি ফরিদা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জারজিস হাসান মিঠু, সদস্য রাহিদ সরদার, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন জয়, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম কচি, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ফটিক, সম্পাদক আব্দুল মজিদ আকন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা ও একডালা ইউনিয়ন আ’লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের সরকারী উপকারভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় পাঁচ হাজার লোকজন সভায় অংশগ্রহন করে। সভায় ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা, প্রতিবন্ধি ভাতাসহ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর বিভিন্ন ভাতাভোগীরা ভাতা পেয়ে কতটুকু উপকৃত হয়েছেন, ভাতা পাওয়ার পর তাদের জীবন-যাপনের কথা এবং আগামীতে আরো কি কি করলে তারা আরো ভালো থাকতে পারবেন এবং অন্যান্য বিষয়ে সুবিধাভোগীদের মতামতও শোনেন সাংসদ হেলাল।