প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হাওরের ফসল ও মানুষ বাঁচাতে স্থায়ী ব্যবস্থা হচ্ছে–এনামুল হক শামীম

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন; বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে হাওরের ফসল ও মানুষ বাঁচাতে স্থায়ী ব্যবস্থা হচ্ছে। হাওরবাসী যেন নির্বিঘ্নে ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। কৃষকের মুখে হাঁসি দেখলে হাঁসেন শেখ হাসিনা। কৃষকের চোখে পানি দেখলে তাঁর মন কাঁদে। তিনি সবসময় কৃষকের হাসিমুখ দেখতে চান।

জেলার ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনের সময় কৃষকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

উউপ-মন্ত্রী শামীম বলেন; সারাদেশে নদীভাঙন রক্ষায় বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। সারাদেশে সাড়ে পাঁচশ এলাকা নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। সবচেয়ে বেশি নদীভাঙন কবলিত ৫৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা স্পটে গিয়ে নির্দেশনা দিয়ে কাজ করাচ্ছি। সেখানে স্থায়ী বাঁধ করা হচ্ছে, বাঁধ প্রশস্ত করণ হচ্ছে, বনায়নও করা হচ্ছে। যেখানে যা করা প্রয়োজন, তাই করা হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা সবসময় বৃহত্তর সিলেটকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাই সিলেট বিভাগের জন্য করণীয় সকল কিছুই তিনি করে চলছেন।

উউপ-মন্ত্রী বলেন, আগামীতে যাতে হাওরবাসী শতভাগ ফসল নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারেন, ধানের ন্যায্যমূল্য পান, উৎপাদন খরচ কমাতে পারেন; সে বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে। আমরা এখন বিদেশেও খাদ্য রফতানি করি। এতে হাওরের কৃষকের বড় অবদান রয়েছে। হাওরবাসীর জন্য আমাদের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। হাওরের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক শামীম বলেন, কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে নিদিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে সর্তকতার সাথে কাজ করতে হবে। আর কাজের ব্যাপারে কারও অনিয়ম ও গাফিলতি সহ্য করা হবে না। অনিয়ম করলেও কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবেন। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

এসময় সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামীমা শাহরিয়ার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশীদ, প্রধান প্রকৌশলী এস.এম শহিদুল আলম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।