প্রধানমন্ত্রী অন্ধকারে ঢিল ছোড়েন না : ওবায়দুল কাদের
বিদেশে জিয়া পরিবারের নামে বিপুল সম্পদের কথা প্রধানমন্ত্রী এমনিতেই বলেননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিজয় দিবস পালনে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনায় এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
কাদের বলেন, ‘যখন দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ দিয়ে যে কথা বের তা না জেনে, না শুনে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অন্ধকারে ঢিল ছুড়েন না।’
গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে জানিয়েছিলেন, সৌদি আরব খালেদা জিয়ার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। আর সম্প্রতি একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ হিসেবে একটি ভিডিও প্রচার হচ্ছে, যাতে দাবি করা হয়েছে জিয়া পরিবার বিশ্বের ১২টি দেশে বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ কোটি টাকার সম্পদের মালিক।
গত বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ‘অর্থপাচারের’ বিচার হবে।
তবে বিএনপি এই কথিত সংবাদকে ভিত্তিহীন বলেছে। শুক্রবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন অভিযোগ তোলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
তবে বিএনপিকে এ বিষয়ে চুপচাপ থাকার পরামর্শ দিয়ে কাদের বলেছেন, ‘ময়লা নিয়ে যতই ঘাটাঘাটি করবেন ততই গন্ধ ছড়াবে।’
“এ সত্য গোপন রেখে কি লাভ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর? এখন অবস্থা হলো ‘ফান্দে পড়িয়া, বগা কান্দেরে’। দুর্নীতির দুর্গন্ধ আবারও ছড়িয়ে পড়েছে। সত্য কোনদিন চাপা থাকে না।”
কাদের বলেন, ‘সৌদি আরবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের দুর্নীতির খবর বেড়িয়ে গেছে, আর সেটা নিয়ে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। কী করে এই দায় এড়াবে?’।
এই অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘দুদক অবশ্যই অভিযোগের ভিত্তিতে এ সকল দুর্নীতির বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত করবে।’
‘বিএনপির এ দুর্নীতির খবর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এসেছে, তাই অবশ্যই দুর্নীতি দমন কমিশনকে খোঁজ-খবর নিতে হবে, এটা আমাদের দায়িত্ব।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন,‘গণতন্ত্রের কথা বলে মায়া কান্না করছেন। বলছেন, গেল রে গেল গণতন্ত্র গেল। কিন্তু আপনাদের মূখে গণতন্ত্র শোভা পায় না।’
বিজয় দিবস উদযাপনে ভাবগাম্ভীর্য, ও মর্যাদার বিষয়টি ভুলে না যাওয়ার তাগাদা দেন কাদের। বলেন, ‘যে বিজয় অমাদের চেতনা ও গৌরবের, যে বিজয় স্বাধীনতার পুষ্পিত আদর্শের। সেই মাসে বিলবোর্ডে ছবি প্রদর্শনী বিজয়ের চেতনা ও আদর্শ নয়।’
‘ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে রঙ বেরঙের ছবি দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করা যায় না। বিজয়কে চেতনা ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উঁচিয়ে ধরতে হবে।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথের সঞ্চলনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক হারুন হাবীব, নাট্য ব্যক্তিত্ব শমী কায়সার প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন