প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক পরিচয়ে প্রতারণা, দুই ব্যক্তি আটক
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক, যুগ্ম সচিব, বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর প্রধান কর্মকর্তা। একেক সময় একেক পরিচয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ পাইয়ে দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিতেন মানুষের টাকা। প্রতারক আশরাফ ও তার সহযোগী শিক্ষানবিশ আইনজীবী কাদেরকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য।
যখন যে পরিচয় দিলে সুবিধা তখন সেই পরিচয় দিতেন আশরাফ আলী খান। কখনো দাবি করতেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক। কখনো প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত করোনা প্রণোদনা প্যাকেজ প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান। চাকরি দেওয়ার কথা বলে বহু লোকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা। প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে অর্থ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিতেন কমিশন।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমার নিজের চাচাতো ভাই ও ভাগনের চাকরির জন্য ছয় লাখ টাকা দিয়েছিলাম। বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার জন্য মানুষের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচয়ে প্রতারণা করা দিনাজপুরের খানসামার আশরাফের ফেসবুকে আবার পরিচয় বিএনপি নেতা হিসেবে। সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীও ছিলেন। তার সহযোগী শিক্ষানবিশ আইনজীবী কাদের তাকে বিভিন্ন মামলা থেকে জামিন করিয়ে দেওয়ার কাজ করতেন।
পুলিশ বলছে, সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগে, ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিতো মোটা অঙ্কের অর্থ। টাকা হাতে পেলেই দুজন চল যেত আত্মগোপনে।
গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, স্বল্প সুদে মানুষকে ১৫-২০ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হচ্ছে। মানুষরা এই ঋণ নেয়ার জন্য ব্যাকুলতা প্রকাশ করেন। কিছু অর্ধশিক্ষিত ও সরল মানুষ তাদের এসব কথায় বিশ্বাস করেন এবং চাকরির জন্য লাখের অধিক টাকা পয়সা নিয়ে নেন।
আশরাফের ভুয়া পরিচয় ধরতে পেরে গত বছর টাঙ্গাইলের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের সাজা দেন। জামিনে বেরিয়ে আবারো প্রতারণা শুরু করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন