প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা- জবাবে যা বললেন ড. কামাল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই জোটটির নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানহীন বেসামাল বিএনপিকে ভোটের রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন ড. কামাল হোসেনই। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে আস্থা রেখে বিএনপি আজ নির্বাচনে।

বিএনপি জোটবদ্ধ হয়ে ভোটে অংশ নিলেও নির্বাচন করতে পারছেন না দলটির শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এমতাবস্থায় অনেকেই ধারণা করেছিল ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ভোটে অংশ নেবেন এবং ফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।

কিন্তু ড. কামাল হোসেন ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন। ফলে সরকারি দলসহ ভোটারদের মনে একটিই প্রশ্ন-যদি বিএনপি জোট একাদশ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তবে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?

এই প্রশ্নের সূত্রপাত করেছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি কিছু দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখেছিলেন- ‘হু ইজ দেয়ার পিএম ফেইজ’।

এই প্রশ্নের উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে আজও দেয়া হয়নি। তবে ড. কামাল হোসেনকে বারবার এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বুধবার ভারতের জাতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্ন করা হয়।

ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা, এমন প্রশ্ন করা হলে কামাল হোসেন বলেন, আমি-হ্যাঁ বা না বলব না। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো পদ ও বেতন ছাড়াই কাজ করতে আগ্রহী।

নির্বাচনের বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, আমি ভোটের দিনের অপেক্ষায় আছি। ভোটের দিন একটি স্বাধীনতার দিন। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তা হলে তা হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিন। এখন গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তা হলে স্বাধীনতা অর্থপূর্ণ হবে।

ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘ভারতকে বিএনপি বলেছে-তারা ভুল ছিল। খালেদা জিয়া যখন ভারত গেলেন, তখন তিনি তাদের এটি বলেছেন। এটি তাদের ভুল উপলব্ধির প্রক্রিয়ার অংশ, খালেদা জিয়া নিজেদের অবস্থান সংশোধন শুরু করেছেন।’

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতা বিএনপির প্রতীকে নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, দুঃখের সঙ্গে আমাকে বলতে হচ্ছে -জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেয়াটা বোকামি।

আমি লিখিত দিয়েছি-জামায়াতকে কোনো সমর্থন দেয়া এবং ধর্ম, মৌলবাদ, চরমপন্থাকে সামনে আনা যাবে না। তিনি আরও বলেন, যদি জানতাম জামায়াত নেতারা বিএনপির প্রতীকে নির্বাচন করবেন, তা হলে আমি এতে যোগ দিতাম না। কিন্তু ভবিষ্যৎ সরকারে যদি জামায়াত নেতাদের কোনো ভূমিকা থাকে, তা হলে আমি তাদের সঙ্গে একদিনও থাকব না।