প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব না ছাড়লে দুর্বার আন্দোলন : খাদ্যমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে আগস্টের মধ্যে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। আর নিজে থেকে চলে না গেলে তার বিরুদ্ধে দু্র্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের এক আলোচনায় এই হুমকি দেন খাদ্যমন্ত্রী।
কামরুল ইসলাম বলেন, তাঁর (প্রধান বিচারপতি) যদি সামান্যতম জ্ঞান থাকে, সামান্যতম বুঝ থাকে তাহলে স্বেচ্ছায় চলে যাবেন। তা না হলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদে ফিরিয়ে এনে পাস করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকার। এই রায়ে বিচার্য বিষয়ের বাইরে অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
প্রধান বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে শাসন ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, সংসদ অপরিপক্ক, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী নয়।
পাশাপাশি ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো একক ব্যক্তির কারণে হয়নি’ এই জাতীয় বক্তব্য আওয়ামী লীগকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ক্ষমতাসীন দল মনে করছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমাননা করা হয়েছে এই বক্তব্যের মাধ্যমে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমরা মর্মাহত।’
আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন.. ইয়াহিয়া খান ২৬ মার্চ যখন ভাষণ দিয়েছিলেন, তখন অন্য কারও কথা বলেনি…প্রহসনমূলক বিচার করে ফাঁসির রায়ে পর্যন্ত সই করে দিয়েছিলেন।…কই, ইয়াহিয়া তো জিয়াকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেনি। তার কথাও বলেনি। তিনি শুধু একজনের কথা বলেছিলেন, সেটা হল জাতির জাতির জনক। তাকে দোষারোপ করে পাকিস্তানের শত্রু হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। কাজেই এই সত্যটা যে উপলব্ধি করতে পারবে না, সে আদৌ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না, আমার সন্দেহ।”
খাদ্যমন্ত্রী মনে করেন বিএনপির সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, যেভাবে বিএনপি ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে কথা বলে প্রধান বিচারপতি রায়ের পর্যবেক্ষণে সেই সুরে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, বিএনপির সুরে কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত করে বেশি দিন এই মসনদে থাকতে পারবেন না।’
প্রধান বিচারপতি বলেছেন ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ কোন ব্যক্তির একক নির্দেশে হয়নি। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনি কেন এ কথা বললেন? কে আপনাকে এই অধিকার দিয়েছে?
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন