মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
প্রধান সহকারি কাম-হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ লোপাট করার অভিযোগ ড্রাইভারের
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারি কাম- হিসাব রক্ষক মিজবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অর্থ লোপাট করার অভিযোগ দায়ের করেছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক আবুল হুসাইন মোঃ শহিদুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক শহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন,২০২৩-২৪ অর্থ বছরে অ্যাম্বুলেন্স এর জন্য ৪টি টায়ার,এক সেট ব্রেক পেড,এক সেট ব্রেক সুর জন্য আবেদন করি। এর মধ্যে এক সেট ব্রেক পেড,এক সেট ব্রেক সুরর টাকা পেয়ে আমি নিজে ক্রয় করি। ৪টি টায়ারের আবেদন করা হলে প্রধান সহকারি কাম- হিসাব রক্ষক মিজবাহ উদ্দিন সুকৌশলে বিল দেখান ৫টির। এতে মূল্য ধরা হয় ১লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা।
বিল রেজিস্টারে ১০ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেন প্রধান সহকারি কাম- হিসাব রক্ষক মিজবাহ উদ্দিন। টায়ার কিনতে টাকা চাইতে গেলে তিনি নিজে ক্রয় করবেন বলেন। আপনি ক্রয় করবেন তা হলে বিল রেজিস্টারে ১০ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নিলেন কেন ? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হিসাব রক্ষক মিজবাহ উদ্দিন বিলটি আলমারীতে রেখে দেন। এ সময় মদন ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম আকন্দ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন। বিল রেজিস্টারে গাড়ি চালকের স্বাক্ষর কেন নেয়া হল চেয়ারম্যান জানতে চাইলে প্রধান সহকারি কাম- হিসাব রক্ষক মিজবাহ উদ্দিন জানান, স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তার নিদের্শে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রধান সহকারি কাম- হিসাব রক্ষক মিজবাহ উদ্দিন জানান, অ্যাম্বুলেন্সের চারটি টায়ার ক্রয় করার জন্য স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তার নির্দেশে ১লাখ ১১হাজার ৮৭৫ টাকা উত্তোলণ করি। ড্রাইভারকে নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে টায়ার ক্রয় করতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু ‘ ড্রাইভার নগদ টাকা নিতে চায়। আমি এতে অসম্মতি জানালে সে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়াগায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম জানান,ড্রাইভার ও হিসাব রক্ষকের মধ্যে টায়ারের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। আমি ঘটনা স্থলে ছিলাম। ড্রাইভারের ১০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছেন টাকা দিচ্ছেন না এমন প্রশ্ন করলে হিসাব রক্ষক আমার সামনে স্ট্যাম্প তুলে ড্রাইভারকে দিয়ে দেন ।
স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা জানান, আমার নির্দেশ ছিল প্রধান হিসাব রক্ষক মিজবাহ নিয়ে ড্রাইভার টায়ার ক্রয় করবেন। তবে আমি যেটা শোনেছি ড্রাইভার তাকে নিয়ে টায়ার কিনতে রাজি নন। এর পর ড্রাইভার প্রধান হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে ইউএনও সাহেবের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইউএনও মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, অ্যাম্বুলেন্স চালক ড্রাইভারের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি যাচাই বাছাই করার জন্য একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন