প্রশ্নপত্র ফাঁসকে ঠুনকো ব্যাপার বললেন সংসদীয় কমিটির সদস্য

বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সরকার সমালোচনার মধ্যে পড়লেও এ বিষয়টি ঠুনকো বলে মতামত দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক সদস্য। আর এ কমিটির সভাপতি বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায় সরকারের না। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তারা।

প্রসঙ্গত, সরকারের বিভিন্ন কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। বরগুনায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি এবং সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, এগুলো তো সরকার করে না। ওই প্রশ্ন উপজেলা বা স্কুলভিত্তিক হয়। এ জায়গায় সরকারের কিছু করার নাই। এ দায় সরকারের না। এ প্রশ্ন ক্যামনে আউট হয়, কীভাবে আউট হয় এটা আমরা জানি না। এটা স্কুলেই হয়। এর বাইরে কিছু না। তবে এ বিষয়টা আমাদের নোটিশে আসছে। আমরা কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছি।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সংসদীয় কমিটি কী সুপারিশ করেছে এ বিষয়ে সভাপতি বলেন, নিয়োগের বেলায় জেলায় জেলায় প্রশ্ন করছি। কাজেই নিয়োগের প্রশ্ন আউট হওয়ার রাস্তা নাই। সংসদীয় কমিটির আরেক সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন দাবি করেন, এবার পিএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এখন প্রশ্নপত্র করে লোকাল শিক্ষক সমিতি। তাই এর ওপর সরকার বা মন্ত্রণালয়ের কোনো হাত নাই।

প্রথম শ্রেণিতে এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি, সাংবাদিকদের এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সভাপতি বলেন, আপনি বলেন আগে শোনেন নাই, আমি ১৯৬৫ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। তখনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। পরীক্ষাটা আবার দ্বিতীয়বার নেয়া হয়েছিল। এ সময় আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘বিজি প্রেস (সরকারের মুদ্রণালয়) থেকে ছাপা প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। আর আপনি ওয়ান টু থ্রি’র প্রশ্ন করতেছেন? এটা খুবই ঠুনকো ব্যাপার।’

সংসদীয় কমিটির আরেক সদস্য ওম্মে রাজিয়া কাজল বলেন, বিজি প্রেস থেকে যে প্রশ্নগুলো ফাঁস হয় এর প্রভাব পড়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়েগুলোর ওপর। বিজি প্রেস থেকে যদি পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে তাহলে তার প্রভাব পড়বে না? এর আগে লিখিত বক্তব্যে সভাপতি বলেন, এ পর্যন্ত সংসদীয় কমিটি ৪১টি বৈঠক করেছে। ৪০তম বৈঠক পর্যন্ত কমিটি ২৫৫টি সুপারিশ করেছিল, যার মধ্যে ১২৯টি সুপারিশ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়েছে, ১১৩টি বাস্তবায়নাধীন।