প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ইন্টারনেটের গতি কমানোর চিন্তা

আগামী ১০ মার্চ মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ইন্টারনেটের গতি কমানোর সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

ইন্টারনেটে গতি কমানোর সুপারিশ বিটিআরসিকে করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি সোমবার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বলেন, পরীক্ষার প্রতিটি কেন্দ্র কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হবে, যাতে কোনো রকমের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।

“আমরা এটাও করেছি… আগেরদিন ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দেওয়ার একটা অনুরোধ আমরা রাখব।” আগামী ১০ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস-বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৬টি ভেন্যুতে।

মেডিকেল কোচিং সেন্টারগুলো পরীক্ষার আগে বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের ফটোকপির দোকানগুলো বন্ধ রাখা এবং নতুন করে কেন যেন কেউ ফটোকপি মেশিন স্থাপন করতে না পারে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।”

কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার সব বন্দোবস্ত হয়েছে বলে জানান জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, “যারা পরীক্ষা নেবেন এবং প্রশ্ন তৈরি করবেন, তারা খুবই গোপনীয়তা রক্ষা করে কাজটি করবেন। এজন্য একটি বিশেষ টিম থাকবে। তাদের মাধ্যমেই এ পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।”

এই শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে মোট আসন ১১ হাজার ১২২টি। এরমধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৪ হাজার ৩৫০টি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ৭৭২টি। বিডিএস কোর্সে সব মিলিয়ে আসন ১ হাজার ৯৫০টি। সরকারি কলেজে ৫৪৫টি এবং বেসরকারি ১ হাজার ৪০৫টি। মোট ১ হাজার ৯৫০টি।