প্রেম করে বিয়ে, ৬ মাস পর স্বামী উধাও!

পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে, অতপর ৬ মাস পর স্বামীর পলায়ন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুকানপুকুরী ইউনিয়নের সাড়োডুবি গ্রামে।

জানা যায়, শুকানপুকুরী ইউনিয়নের সাড়োডুবি গ্রামের মোটাইয়ের ছেলে শ্রী ধরনী রায়ের সঙ্গে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দিপ্তী রানীর। পরিবারের মত না থাকলেও বিয়ে করেন তারা। ছয় মাস ভালোই চলছি তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ করে স্ত্রী দিপ্তীকে রেখে বাড়ি ছেড়ে চলে যান ধরনী রায়। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেননি।

এদিকে স্বামী বাড়িতে না থাকায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে বাবার বাড়ি চলে যান দিপ্তী রানী। এখন স্বামীকে ফিরে পেতে পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

দিপ্তী রানী বলেন, ‘বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে প্রায় ছয়মাস সুখের সংসার করে আসছি। হঠাৎ আমাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। পরে আমি জানতে পারি স্বামী ধরনী রায় অন্যকোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। তার সঙ্গে তোলা বিভিন্ন ছবি আমাকে দেখালে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। পরে কৌশলে আমাকে বাবার বাড়ি রেখে আমার ধরনী রায় পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পরে আমি আবার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে উঠি। তবে স্বামী কোথায় আছে আমি জানি না। কোনো প্রকার যোগাযোগও করে না। এ সুযোগে আমার স্বামীর পরিবার আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করে চলছে, যাতে আমি তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হই। এখন আমি কার কাছে গেলে, কি করলে স্বামীকে ফিরে পাবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে জানকে চাইলে ধরনী রায়ের মা কুঞ্জু রায় বলেন, ‘আমার ছেলে কোথায় আছে আমি জানি না। আমার সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ নাই। আমিও খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছি। আর তার স্ত্রীকে কোনো নির্যাতন করা হয়। সে নিজেই তার বাবার বাড়ি চলে গেছে।

শুকানপুকুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন দাস বলেন, ‘আমি জানি যে মোটাইয়ের ছেলে বউ রেখে পালিয়ে গেছে। ফলে মানবেতর দিনযাপন করছে দিপ্তী রানী। আমরা চেষ্টা করছি যে কীভাবে ধরনী রায়কে খুঁজে বের করা যায়।

সদর উপজেলা শুকানপুকুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আনিসুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা শুনেছি। বিস্তারিত খবর নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।